জরুরি ভিত্তিতে চাল ও আলু বিতরণ ঝাড়গ্রামের স্কুল পড়ুয়াদের

অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ২৩ মার্চ: করোনা ভাইরাসের জেরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
বন্ধ থাকাকালীন প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দু কেজি চাল এবং দু কেজি আলু দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রাম জেলার  স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের  মধ্যে  চাল ও আলু  বিলি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির শিশু ও মায়েদের জন্য দুপুরের খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার থেকে রাজ্যে লকডাউন শুরু হচ্ছে, তার আগে আজ মিড ডে মিলের খাবার দেবার কাজ শুরু হল।

সোমবার সকাল থেকে মিড ডে মিলের খাবার ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের বেলপাহাড়ি, বিনপুর ১, বিনপুর ২ ব্লক, জামবনি, সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর ১, গোপীবল্লভপুর ২ ও নয়াগ্রাম ব্লকের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের পরিবর্তে দু কেজি করে চাল ও দু কেজি করে আলু ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন গোপীবল্লভপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির ১০৫ জন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতে দু কেজি চাল দু কেজি আলু তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে নায়াবাসান জনকল্যাণ বিদ্যাপীঠ ও নয়াবসান বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২ কেজি চাল ও ২ কেজি করে আলু তাঁদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হল। নবাসন জনকল্যাণ বিদ্যাপীঠ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ক্যাম্প করে পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণির মোট ৩২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক-অভিভাবিকাদের হাতে ২ কেজি করে চাল ও ২ কেজি করে আলু তুলে দেওয়া হবে। অন্যদিকে নয়াবাসান বালিকা বিদ্যালয়ের ৩৯৭ জন ছাত্রীর অভিভাবকের হাতে দু কেজি চাল আলু তুলে দেওয়া হয়। সরকারের এরকম উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবক-অভিভাবিকারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *