ছবি: আজ কোচবিহারে সকাল থেকেই নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে প্রচারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি
তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২২ জানুয়ারি: রাত তখন ১০টা পেরিয়ে গিয়েছে। ‘বিট্টু’ মানে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে মহামিছিল শেষ হয়ে গিয়েছে সন্ধ্যেতেই। কিন্তু, মধ্যের কয়েকঘণ্টা যেন স্রেফ কয়েক মিনিট। বঙ্গবিজেপির মহামহিম দিলীপ ঘোষের মানসচোখ তখনও পড়ে তুফানগঞ্জের মিছিলে। মঙ্গলবার রাতে মোবাইলে খুটখুট করতে করতে শেষ পর্যন্ত টুইট করেই বসলেন দিলীপ। কয়েকঘণ্টা আগে শেষ হওয়া মিছিল নিয়ে আবেগটা ধরা পড়ল সেই টুইটে।
তিনি লিখেছেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে স্মরণীয় মিছিলে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে পরিবর্তন আসছেই।’ দু’দিন আগেই ব্যারাকপুরে অর্জুন সিংকে নিয়ে মহামিছিল করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ফাল্গুনি পাত্র ফুল ছিঁড়েছেন। ম্যাটাডোর থেকে দু’পাশে জনতার মধ্যে সেই সব ছেঁড়া পাপড়ি ছড়িয়েছেন দিলীপ। তার পরও ব্যারাকপুর যেন রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে তুফানগঞ্জের তৃপ্তি দিতে পারেননি। কারণটা, বিজেপির হলেও ব্যারাকপুর আসলে অর্জুনের গড়। বিট্টু সেখানে অনেক শান্ত। মুখে সবসময় ধরা হাসি, পরিশীলিত।
তাছাড়া উত্তরবঙ্গের এই জনজোয়ার বিজেপি শেষ কবে দেখেছে! বিজেপিতে প্রবেশের আগে সংঘের প্রচারক দিলীপও দেখেছেন, উত্তরবঙ্গ মানে কংগ্রেস আর বামেদের। বিরোধীদের সেই জমির রং আজ গেরুয়া। তা-ও তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি থাকাকালীন। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি তাই মুগ্ধ। এই মুগ্ধতা নিজের সাফল্যেই। রাজ্য বিজেপি সভাপতির ছোট টুইট এসব অনেক কথাই যেন বলে দিল।