খিদিরপুর-টালিগঞ্জে রাত থেকে ভোরে পর পর দুর্ঘটনা, মৃত ২, আহত ৬

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ২২ জানুয়ারি: হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও রাত এবং ভোরের শহরে বেপরোয়া যান চলাচল কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ৩টি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের, আহত ৬ জন।

মঙ্গলবার রাতে খিদিরপুরে প্রথমে একটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলা ও এক পুরুষের। কিছুক্ষণ পরে খিদিরপুরেই ১০ চাকার একটি লরি উল্টে গিয়ে তাতে আহত হন ৫ জন। দুটি ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপর বুধবার সকালে টালিগঞ্জ এলাকায় একজন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে বেসরকারি একটি বাস। বাসের চাকায় তার একটি পা পিষ্ট হয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

খিদিরপুর অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মঙ্গলবার রাতে খিদিরপুরের নজরুল সেতুর উপর, একটি গাড়ি একটি বাইককে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তখন বাইকে থাকা চালক ও মহিলা আরোহী ছিটকে পড়ে গেলে তাদের উপর দিয়েই গাড়িটি চলে যায় এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে দুটি মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

অন্যদিকে, খিদিরপুরেই কয়লা ডিপো সংলগ্ন ১৯ নম্বর কোল বার্থ রোডে রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ১০ চাকা লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি দোকানে উপরে উঠে যায়। সেই সময় বেশ কয়েকজন যুবক রাস্তার পাশে বসে ছিল। দোকানটি ভেঙ্গে তাদের গায়ের উপর পড়ে এবং সেই ঘটনায় একজন মহিলা সহ মোট ৫ জন গুরুতর আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।

স্থানীয় লোকজনের দাবি, মাল বোঝাই ট্রাক ও বড় বড় গাড়ি প্রচন্ড দ্রুতগতিতে এই রাস্তা দিয়ে যায়। যার ফলে এর আগেও বহুবার এরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে এখানে। পুলিশ প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরেও সেখানে স্পিড ব্রেকার লাগানো হয়নি বলেও দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। অপরদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *