‘দিদিকে বলো’ ফ্লপ, তৃণমূলের, নতুন শো ‘বাংলার গর্ব মমতা’

চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ৭ মার্চ: একসময় কলকাতা ময়দান আর পিকের ‘ভোকাল টনিক’ শব্দগুলো মিশে গিয়েছিল। সেই পিকে ময়দান-কাঁপানো ফুটবলার-কোচ প্রদীপ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও মিশে গিয়েছে অন‍্য এক পিকে (প্রশান্ত কিশোর)-র নাম। এই অন‍্য পিকে বর্তমানে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশিক্ষক। যাঁর নির্দেশে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে আজ থেকে নতুন কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। যে নতুন কর্মসূচির নাম- ‘বাংলার গর্ব মমতা।’ এই নতুন কর্মসূচির শুরুতে আজ রাজ‍্যের সব (২৯৪টি) বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, দলীয় নেতাদের বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচি শুরুর নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূলের পিকে।

এই কর্মসূচির পরামর্শ দেওয়া প্রথম নয়। কোটি কোটি টাকার চুক্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রায় প্রতিদিন কিছু না-কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করছেন প্রশান্ত কিশোর। এর আগে তাঁর নির্দেশে, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কর্মসূচিতে এক ফোন নম্বরও চালু করেছিল দল। নম্বর চালু করেই অতি উৎসাহে ঘোষণাও করে দিয়েছিল, একদিনের মধ‍্যে ওই নম্বরে লক্ষ লক্ষ ফোন এসেছে। মাত্র একদিনে নির্দিষ্ট এক ফোন নম্বরে ঠিক কত ফোনকল ঢোকা সম্ভব, তার হিসেব না-করেই এমন ঘোষণায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল গোটা রাজ‍্যে। শুধু তাই নয়, শেষমেশ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি রাজ‍্যবাসীর কাছে হাসির খোরাক হয়ে ওঠে।

সূত্রের খবর, তার পরও তৃণমূল সুপ্রিমোকে প্রশান্ত কিশোর নিজের পক্ষে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভোকাল টনিক দিয়ে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতেও বাধ‍্য করেছেন। সেই কর্মসূচিই (বাংলার গর্ব মমতা) আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচিকে ‘দিদিকে বলো’র দ্বিতীয় অধ‍্যায় বললেও অত‍্যুক্তি হবে না। এর সঙ্গে, নতুন কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মীদের মনোভাবের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ গোড়া থেকেই মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের ছবি প্রয়াত মনীষীদের পাশেই রাখেন। সেই মনোভাবকে উসকে দিতে এই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে, ‘বাংলার গর্ব মমতা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *