আমাদের ভারত, ১ মে: দিল্লি স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পেছনে কি ইসলামিক স্টেট এর হাত রয়েছে? কারণ যে মেইলে হুমকি পাঠানো হয়েছে তাতে সাওয়ারিম বলে একটি শব্দ ছিল। সেখান থেকেই পুলিশের সন্দেহ আতঙ্ক ছাড়ানোর পেছনে ইসলামি জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে।
সাওয়ারিম একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ তলোয়ারের সংঘর্ষ। ইসলামিক স্টেট ২০১৪ সাল থেকে এই শব্দটি ব্যবহার করে আসছে। কট্টর ইসলাম পন্থী প্রচারের উদ্দেশ্য শব্দটি ব্যবহার করে থাকে ইসলামিক স্টেট। বুধবার দিল্লির স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ানো ইমেলেও এই শব্দটি ছিল বলে বুধবার বিকেলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে আসা এই হুমকির মেইল পাঠানো হয়েছিল swariim@mail.ru থেকে।
বুধবার ভোরে রাজধানী দিল্লির বুকে কমপক্ষে ১০০টি স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ানো ই- মেইল আসে রাশিয়া থেকে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ স্কুলগুলি খালি করে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। কিন্তু ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যায় কোথাও কিছু নেই পুরোটাই আতঙ্ক ছড়াতে করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, একটিমাত্র আইপি অ্যাড্রেস থেকেই মেইল করা হয়েছিল। সেটি ছিল রুশ অন্তর্জাল ছদ্ম আইডি থেকে। এই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত না হতে পারলেও পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি এবং এনসিআর এর স্কুলগুলিতে পাঠানো মেইল এসেছে রাশিয়া থেকে।
সাইবার ক্রাইম শাখা তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই ধরনের মেইল পাঠানো হয় ভিপিএন কানেকশন থেকে যাতে প্রাপকের সঠিক আইপি অ্যাড্রেস গোপন থাকে। তবে সাইবার দল নিশ্চিত যে অরিজিনাল প্রেরককে খুঁজে বের করা যাবে।
দিল্লিতে প্রায় ১০০টি স্কুলে বুধবার সকালে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পড়ুয়াদের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল থেকে বের করে আনা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। ফলে মাঝপথে পরীক্ষা থামিয়ে পড়ুয়াদের বের করে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে সব জায়গাতেই পৌঁছায় পুলিশ, বোম স্কোয়াড, দমকল বাহিনী। অভিভাবকদের স্কুল থেকে জানিয়ে পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো স্কুলেই বোমা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার কলকাতা সহ দেশের চব্বিশটি বিমানবন্দরেও এইরকমই বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির মেইল এসেছিল। তল্লাশি করে সেখানেও কিছু খুঁজে পায়নি পুলিশ।