ভুয়ো ডাক্তার! দেগঙ্গার একটি নার্সিংহোমের চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ, উত্তেজনা

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৮ নভেম্বর: দেগঙ্গার একটি নার্সিংহোমের এক চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। দেগঙ্গার মগরা বাজারের ঘটনা। পরে পুলিশ এসে ওই চিকিৎসক এবং নার্সিংহোম এর মালিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরের ২ তারিখে স্থানীয় বাদুড়িয়ার বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আকবর মন্ডল পাইলসের সমস্যা নিয়ে মগরার ওই নার্সিংহোমে যান। রোগী দেখার পর শ্যামল মজুমদার নামে ওই নার্সিংহোমের এক চিকিৎসক অপারেশন করার পরামর্শ দেন। এজন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেন বলে রোগীর পরিবারের দাবি। আকবর মন্ডলের মেয়ে সবুজ জান খাতুনের অভিযোগ, অপারেশনের জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বাবার কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় করেনি। ভর্তির পর সরাসরি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। অপারেশনের পর এক টুকরো মাংস পিণ্ড বায়োপসি করার জন্য পরিবারের হাতে দেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। হাবরার একটি প্যাথলজি সেন্টারে বায়োপসি করা হয়। ১৫ দিন পরে রিপোর্ট দেয়। রিপোর্ট এনে দেখালে নার্সিংহোম এর ডাক্তার বলেন আকবরের ক্যান্সার হয়েছে। অন্য জায়গায় চিকিৎসা করার জন্য রোগীর পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ দেন তিনি। ওই চিকিৎসকের পরামর্শমতো কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আকবরের পরিবারের লোকজনদের জানায় যেখানে অপারেশন হয়েছে সেখান থেকে ডিসচার্জ লেটার আনতে হবে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে এসে ডিসচার্জ লেটার চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ।

বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের ঘোরানো হয়। সবুজ জান খাতুন বলেন বারবার বলা সত্ত্বেও ডিসচার্জ লেটার না দেওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। এরপরেই শনিবার ওই ডাক্তারের সার্টিফিকেট দেখতে চান আকবরের পরিবারের লোকজন। কিন্তু সেটাও দেখাতে পারেনি ওই চিকিৎসক। প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে ওই নার্সিংহোমের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গফফার মোল্লা। সামাল দেন পরিস্থিতি। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে ওই চিকিৎসক এবং নার্সিংহোমর মালিককে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *