হিলিতে এক্সপোর্টের আড়ালে দেদার মাদক পাচার, প্রশ্ন চিহ্নে কেন্দ্র ও রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৭ সেপ্টেম্বর: এক্সপোর্টের আড়ালে দেদার মাদক পাচার করার অভিযোগ সীমান্তে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হিলির ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের। শনিবার বাংলাদেশে রপ্তানীকৃত খইল বোঝাই ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও নেশাজাতীয় এ্যমপোল উদ্ধার হতেই সামনে আসে পাচারের তত্ত্ব। ঘটনার পরেই ভারতীয় একটি ট্রাক ও ট্রাক চালক কৃষ্ণ রায় (৩৬) কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ওপারের কাস্টমস।

জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একটি খইল বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। যে ট্রাকে অভিযান চালাতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য। যে মাদক দ্রব্যগুলি ট্রাক চালকের কেবিনেই মজুত রাখা ছিল বলেও জানতে পারে সেদেশের সরকার। ঘটনার জেরে আটক করা হয়েছে ট্রাক চালক কৃষ্ণ রায়কে। যার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী এলাকায়। শুধু তাই নয়, আটক গাড়ির মালিক সুবোধ কুন্ডু হিলির বাসিন্দাও বলে জানতে পেরেছে সে দেশের প্রশাসন। যেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে ২২৩ বোতল ফেন্সিডিল, ৯৬ বোতল ফায়ারডিল, এছাড়াও প্রায় চার হাজার এ্যমপোল উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সরকার। ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে এক্সপোর্টের আড়ালে কিভাবে রমরমিয়ে চলছে এই মাদক কারবার তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন? শুধু তাই নয়, রাজ্য ও কেন্দ্র প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কিভাবে লরি বোঝাই মালের মধ্যে এসব মাদক পাচার হচ্ছে সীমান্তে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন? এখানেই শেষ নয়, একাধিকবার এই ঘটনা সামনে আসলেও এক্সপোর্টাররা কেন নিশ্চুপ থাকছে যা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

যদিও হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আলাউদ্দিন মন্ডল জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে চলতি মাসের ১৪ তারিখে বাংলাদেশের সাথে একটি উচ্চপর্যায়ের আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এ ধরনের মাদক পাচারের জন্য এক্সপোর্টাররা কখনোই দায়ী নয়। চালক ও গাড়ি মালিকের জন্যই এধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। তাই এক্সপোর্টের গাড়িতে মাদক পাচারের বিষয় সামনে আসলে সেই গাড়ি ও গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার নির্দেশও জারি করা রয়েছে উভয় দেশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে। বিষয়টি নিয়ে তারা এর আগেও গাড়ি মালিক ও চালকদের একাধিকবার সতর্ক করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *