আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ১২ মে: ফের পুলিশের নাকের ডগায় চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। পুলিশকে জানিয়েও কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এমনই ছবি ধরা পড়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ময়ূরাক্ষী নদীতে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে।
বালি চুরি নিয়ে মাস দু’য়েক আগে জেলা শাসক বিধান রায়কে ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুরি বন্ধে দেওয়া হয়েছিল সাত দিনের সময়সীমা। এরপরেই রাতের অন্ধকারে অভিযান চালান জেলা শাসক বিধান রায়। আটক করা হয় একাধিক ডাম্পার ও ট্রাক্টর। বাজেয়াপ্ত করা হয় নদী থেকে বালি তোলার মেশিন, নৌকা। কিন্তু তাতেও অবৈধ বালি উত্তোলন আটকানো যায়নি।
সাঁইথিয়ার ময়ূরাক্ষী নদীর কুলতোর গ্রামের কাছে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। নদীর মাঝে নৌকাতে মেশিন বসিয়ে অবাধে বালি তোলার কাজ চলছে দিন রাত। অন্য জায়গার চালান নিয়ে প্রতিদিন ৭০-৮০ ডাম্পার বালি পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এই মর্মে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের সর্বস্তররে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ নদীর পারে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকই কিন্তু, পুলিশ চলে যেতেই ফের শুরু হয় বালি উত্তোলন।
গ্রামবাসীরা জানান, নদীর বুকে একশো থেকে দেড়শো ফুট গভীর থেকে বালি তোলা হচ্ছে। ফলে নদীর বুকে তৈরি হচ্ছে গর্ত। বর্ষায় ওই সব গর্তে তলিয়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। যে কোনো সময় বিলীন হতে পারে আশপাশের গ্রাম। অবিলম্বে অবৈধ বালি তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আমোদপুরের বাসিন্দা অরিজিত সেন ওরফে বাপ্পা বৈধ ঘাটের আড়ালে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছেন। বিশেষ করে এলাকার কালিমাতা এবং জল ট্যাঙ্কি ঘাটে দেদার বালি তোলা হচ্ছে মেশিনের সাহায্যে। তবে এনিয়ে বাপ্পা সেন কিছু বলতে চাননি। জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।