বিজেপি সত্যকে ভয় পায়: ড: নির্মল মাজি

আমাদের ভারত, হাওড়া, ৭ জুন: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কাজ করছেন সেটা ইতিহাস। নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যেভাবে মানুষের জন্য রাস্তায় নেমে মানুষকে সচেতন করেছেন সেটা দেখে বিজেপি নেতাদের ভয় হয়েছে। আর জনসমর্থন হারানোর ভয়ে তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচার করছে। আসলে বিজেপি সত্যকে ভয় পায়। রবিবার আমতায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ড:নির্মল মাজি।

এদিন বিধায়ক বলেন, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের প্রথম দিন থেকেই বিধানসভা কেন্দ্রের ২৩৬ টি বুথের প্রতিটিতে ৪ জন করে কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে আর যার জন্য উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে মাত্র ২ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যদিও এরাও কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্র গ্রীন জোনে পরিণত হবে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ১৫৫৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক এসেছে এবং তাদের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

এদিন ড: নির্মল মাজি অভিযোগ করেন, পরিযায়ী শ্রমিক আসার পরেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। আর সেই কারণে একাধিক গ্রিন জোন রেড জোনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এদিন বিধায়ক বলেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৯টি কোভিড হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে এবং আরোও ১০টি করা হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের অন্যতম কোভিড হাসপাতাল কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গত ৩০ দিনে ৫৮৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

বিধায়ক বলেন, সাম্প্রতিক আমফান ঝড়ে প্রচুর বাড়ি, পান বোরোজ, ইলেকট্রিক পোস্ট, রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ ছাড়াও আমতা গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রুপান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আমতা স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে ২৮ হাজার স্কোয়ার ফুটের ৮ তলা বিশিষ্ট ৩৫০ শয্যার মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য প্রসঙ্গে বিধায়ক জানান তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া ছাড়াও তিনি যে সমস্ত সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন সেই সমস্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে শ্রম দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড: নির্মল মাজি জানান, শ্রমিকদের দক্ষতা অনুযায়ী তাদের জরি, কক ও পরচুল শিল্পে ধাপে ধাপে কাজ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রাজ্যের এই বিপর্যয়ের সময় রাজনীতি ভুলে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান বিধায়ক ড: নির্মল মাজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *