সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৮ এপ্রিল: ভালোবেসে বিয়ে করায় ধারালো দা দিয়ে মেয়ে জামাইকে কোপানোর অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার নয়াকামার এলাকায়। আহত মেয়ে জিনিয়া সরকারের অবস্থা আশঙ্কা জনক। তাঁকে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বাবা অরুণ সরকার পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাবা অরুণ সরকারের পছন্দে বিয়ে হয় বারাসাত নীলগঞ্জ এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। সেখানে প্রায় চার বছর সংসার করে জিনিয়া। এক বছর আগে স্বামীর অত্যাচারে সে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে। সম্প্রতি জিনিয়া বাবাকে না জানিয়ে একটি যুবককে ভালোবেসে বিয়ে করে। সেটাই রাগের কারণ অরুণ সরকারের। সূত্রের খবর, রবিবার সকালে তাঁর স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি আসে জিনিয়া। ওই দিন রাতেই দ্বিতীয় বার বিয়ে নিয়ে বাবার সঙ্গে মেয়ের বচসা শুরু হয়। জিনিয়াকে কটু কথা বলে বাবা। সেই রাগে জিনিয়া স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। সেই সময় জিনিয়ার বাবা অরুণ সরকার ধারালো দা দিয়ে মেয়ে ও জামাইকে এলোপাথাড়ি কোপ দেয়। জিনিয়ার মাথায় ও পিঠে দুটি কোপ লাগে, জামাইয়ের দুটি কোপ লাগে পিঠে। এরপর প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করে। জিনিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অরুণ সরকারের বড় মেয়ে ডালিয়া বাকচি বলেন, এর আগেও সামান্য কারণে বাবা আমাকে দা নিয়ে কোপাতে এসেছিল। এমনকি আমার স্বামীকেও বাঁশ দিয়ে মারতেও যায়। তিনি প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোন ঝামেলা বাধলেই দা নিয়ে তেড়ে যান। তাই বাবার শাস্তির দাবি করে তিনি বলেন, বোন দ্বিতীয়বার বিয়ে করে অন্যায় করেছে ঠিকি। তাই বলে বাবা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। আইন আইনের মতোই চলবে। ঘটনার রাত থেকেই অভিযুক্ত অরুণ সরকার পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ।