স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া ২৯ মার্চ: খেলার মাঠেই ঘনিষ্ঠতা, পরে তা রূপ নেয় প্রগাঢ় বন্ধুত্বে। দোলের রঙিন তারুণ্যকে পেছনে ফেলে পরিবেশ রক্ষার তাগিদে স্পোর্টস স্পিরিট নিয়ে নদিয়ার ফুলিয়া থেকে আটজন বন্ধুর দল গত ১৯ শে মার্চ দার্জিলিং রওনা দিয়েছিল। যার মধ্যে মহিতোষ ঘোষ দৌড়ে এবং দীপঙ্কর, গোপাল, সুরজিৎ, সমিরণ, অজয়, সুজিত, প্রলয় বাকি সাত বন্ধু সাইকেল নিয়ে ছিলো বন্ধুত্বের পেছনে। প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য এক। নেশামুক্ত জীবন গড়ে তুলতে নিয়মিত শরীরচর্চা, জল, মাটি, বায়ু সব ধরনের পরিবেশ দূষণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা, গাছ লাগানো এবং নিরাপদে যানবাহন চালানো। এই বার্তা নিয়ে তারা যাত্রাপথে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট ছড়িয়ে পথের পাশে ছোট ছোট সেমিনার করে এগিয়ে চলছিলো।
ফুলিয়া শিক্ষানিকেতন মাঠে থেকে তাদের বন্ধুত্ব, আর ১৯ মার্চ যাত্রা শুরু করে ১০ দিন বাদে সেখানেই শেষ হয়। সকলেই চাকদহ কলেজের ছাত্র।
রওনা হওয়ার দিনের মতই আজও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সেনাবাহিনীর সংগঠনের সদস্যরা এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল বসাক। তিনি তার পঞ্চায়েত ফুলিয়া টাউনশিপ নামাঙ্কিত গেঞ্জি উপহার দিয়েছিলেন তাঁদের।
বিভিন্ন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ এবং সাধারণ মানুষ তাদের ফিরে আসায় শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন ফুলিয়া বাসষ্ট্যান্ডে।
মহিতোষ ঘোষ জানান, এর আগেও একবার আমারা দিঘা পৌছে ছিলাম। লাগেজ এবং শুকনো খাবার নেওয়া হয়েছিলো, তবে পথে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং প্রশাসনের সহযোগিতা মিলেছে বলেই জানিয়েছে। প্রখর রোদ হওয়ার কারণে দুপুরের দিকটা বিশ্রাম নিয়ে সারারাত এবং সকাল, বিকাল গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজে লাগিয়েছে। তবে ফেরার সময় তারা বাসে ফিরেছে।