আমাদের ভারত, হাওড়া, ৩০ নভেম্বর: গভীর রাতে বাড়ির পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকে গৃহস্থকে হাত পা মুখ বেঁধে লক্ষাধিক টাকার সোনার অলঙ্কার সহ নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল ডাকাত দল। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে শ্যামপুর থানার জয়নগরের নস্করপুর গ্রামে। শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানাগেছে, নস্করপুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ সাউ’য়ের উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে মিষ্টির ব্যবসা। ব্যবসার কারণে তিনি এবং তার দুই ছেলে ব্যারাকপুরে থাকে। গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী দুই ছেলের বউকে নিয়ে থাকেন শ্বশুর মদন দুয়ারী। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ ৬ জনের ডাকাত দল রবীন্দ্রনাথের বাড়ির পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকে। ডাকাতদের পায়ের আওয়াজ পেয়ে মদন দুয়ারী ঘর থেকে বের হলে ডাকাতদল তার হাত-পা-মুখ বেঁধে একটা পিলারের সাথে তাকে বেঁধে রাখে। পরে বাড়ির সদর দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পরপর তিনটি ঘরের আলমারি ভেঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
ঘটনা সম্পর্কে মদন দুয়ারী জানান শুক্রবার দুটো নাগাদ উঠোনে কয়েকজনের আওয়াজ শুনতে পেয়ে বাইরে বেরোলে মুখ ঢাকা ডাকাত দল তাকে বেঁধে ফেলে। পরে ভিতরে ঢুকে মেয়েদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় এবং আলমারি ভেঙ্গে সোনার গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ডাকাত দলের হাতে ধারালো অস্ত্র থাকায় আতঙ্কে কেউ চিৎকার করতে পারেনি। তার দাবি, ডাকাত দল ১৭ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। তিনি জানান, রবিবার একটি বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে বাড়ির মেয়েরা সোনার গহনা নিয়ে এসেছিল সেই খবরটা ডাকাতদলের কাছে পৌঁছে গেছিল আর তার ফলেই এই ঘটনা।
এদিকে ডাকাতির খবর পাওয়ার পর শনিবার সকালে গ্রামে যায় শ্যামপুর থানার পুলিশ। পরে বিকেলে গ্রামে পৌঁছান উলুবেড়িয়ার এসডিপিও পার্থ ঘোষ। তিনি বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি চারিদিকে ঘুরে দেখেন।
ডাকাতি সম্পর্কে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় জানান, ডাকাতদের ফেলে যাওয়া কিছু জিনিষের সূত্র ধরে তাদের খোঁজ চলছে।