আমাদের ভারত,২৩ মার্চ:গোটা দেশজুড়ে হু-হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবার কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ের। দেশের ১৯ রাজ্যে সোমবার থেকে জারি হয়েছে লকডাউন। কিন্তু এই লকডাউন ভাঙার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দলবেঁধে রাস্তায় বেরোনোর প্রমাণ রবিবারে জনতা কারফিউ দিনেই পাওয়া গেছে অনেক জায়গায়। দল বেধে বিকেলে থালা-বাটি বাজানোর চিত্র উঠে এসেছে এদিন। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে পাঞ্জাবে জারি করা হল কারফিউ।
মানুষ আইন ভেঙে রাস্তায় বেরোলে পড়তে হবে কড়া শাস্তির মুখে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রবিবার লকডাউন ঘোষণা করেছিল পাঞ্জাব সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেখানে লকডাউন করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু রবিবারে নিয়ম ভেঙে রাস্তায় নেমেছে অনেকে। তাই বাধ্য হয়ে সোমবার কারফিউ জারি করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপটেন অমরিন্দের সিং।
পাঞ্জাবে এখনো পর্যন্ত ১৪জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। শনিবার দিনই ১১ জনের শরীরে মিলেছে নোভেল করোনার হদিশ।
ওই রাজ্যের এক আধিকারিক জানান ৩১ মার্চ পর্যন্ত গোটা রাজ্যে লকডাউন জারি করেছে পাঞ্জাব সরকার। কিন্তু সেই লকডাউন কোনভাবেই মান ছিলেন না সবাই। তাই বাধ্য হয়ে কারফিউ জারির পথে হাঁটল রাজ্য সরকার।
করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ভারত। কিন্তু তবুও অনেকেই লকডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, বলে মনে করছেন মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই লকডাউন না মানলে অভিযুক্তকে কড়া আইনী শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছেন লকডাউন নিয়ে প্রশাসনের যাবতীয় নির্দেশিকা যে মানা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর সেই জন্যই প্রয়োজনে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।