আমাদের ভারত, ২৪ ডিসেম্বর: এবার কুতুবমিনার নিয়ে মামলা গড়ালো আদালত পর্যন্ত। ২৭টি জৈন মন্দির ও হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে তৈরি করা হয়েছিল কুতুবমিনার। তাই সেখানে মন্দিরের পুনর্নির্মাণ ও নিয়মিত পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিন ব্যক্তি।
মামলাকারী তিন ব্যক্তির দাবি কুতুবমিনার কমপ্লেক্সের মধ্যে ২৭টি জৈন ও হিন্দু মন্দির ছিল। সেগুলি ভেঙ্গে মসজিদ করা হয়েছে। ওই তিন ব্যক্তির পিটিশনার হিসেবে জৈন তীর্থঙ্কর ঋশবদেব ও ভগবান বিষ্ণুকে দাবি করেছেন। দিল্লির সাকেত কোর্টের বিচারপতি এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে চেয়েছেন। আগামী ৬ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে।
মামলাকারি ওই তিন ব্যক্তি দাবি করেছেন, কুতুবমিনার কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকা মন্দির গুলি সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে ফেলা হয়নি। বরং সেইসব মন্দিরের দেওয়ালকে কাজে লাগিয়েই তৈরি হয়েছে মসজিদ। আর সেই জন্যই কমপ্লেক্সের বিভিন্ন জায়গায় গণেশ, বিষ্ণু, দ্বারপাল, মহাবীর নটরাজের ছবি রয়েছে। এছাড়াও মঙ্গল কলস, গদা, ঘন্টা, পদ্মের ছবি দেখা যায়সেখানে।
ফলে সেখানে মন্দির পুনর্নির্মাণ সহ নিয়মিত পুজোর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসেও মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করা রয়েছে।
এই কমপ্লেক্সের করিডোর পুরোপুরি বৈদিক স্টাইলে তৈরি। প্রায় প্রতিটি স্তম্ভে হিন্দু সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত একাধিক ছবির গ্যালারী রয়েছে বলেও দাবি করেছেন মামলাকারীরা।
দিল্লির প্রথম সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবকের সময় অনেক চেষ্টা করেও হিন্দু ও জৈন মন্দির গুলি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি বলেই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ব্যবহার করেই মসজিদ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা।