জুলাইয়ের ১ম সপ্তাহেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারে সেরাম, অক্সফোর্ডের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালও সাফল্যের দিকে

আমাদের ভারত, ২৫ জুন : সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে,
করোনা প্রতিরোধকারি ভ্যাকসিন জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই ভারতের বাজারে আনতে পারে সেরাম। অক্সফোর্ডের চুড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল সাফল্যের দিকে। এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের রিপোর্ট সাফল ছিল।

কোভিডের ভ্যাকসিন গবেষণায় অক্সফোর্ডের দুটি ট্রায়াল রিপোর্ট বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে, দাবি ভাইরোলজি সারা গিলবার্টের টিমের। প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়ালের গন্ডি পার হয়েছিল আগেই। তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায় ট্রায়ালের রিপোর্টও ভালোর দিকে। ব্রিটেন, ভারত ছাড়াও ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল জোরকদমে চলছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া দাবি করেছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায় ক্লিনিক্যাল রিপোর্টে সুফল দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও ভালোর দিকেই। সব ঠিক থাকলে জুলাই মাসের প্রথমেই ভ্যাক্সিন চলে আসতে পারে বাজারে।

ভ্যাকসিনের প্রথম হিউম্যান ক্লিনিকাল টেস্ট শুরু হয়েছিল এপ্রিলে। প্রথমে দুজনের শরীরে ইঞ্জেক্ট করা হয়েছিল ভ্যাকসিন। তাদের মধ্যে ছিলেন একজন মহিলা বিজ্ঞানী। আরো ৮০০ জনকে দুটি দলে ভাগ করে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়।

অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন গবেষণায় যুক্ত রয়েছে ভারতের অন্যতম বড় বায়োটেকনোলজি ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ডের কোভিড ভ্যাকসিন গবেষণার অন্যতম সদস্য ডক্টর এন্ড্রিয়ান হিলের তত্ত্বাবধানেই সেরামেও এই ভ্যাক্সিন ক্যান্ডিডেট ডিজাইন করা হচ্ছে। ট্রায়াল সফল হলে ফি মাসে প্রায় ১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বানানো শুরু হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব জানান, প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য কম ডোজে ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছিল। তাতে যথেষ্ট সুফল দেখা গেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে, আশা করা যাচ্ছে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই ভ্যাক্সিন নিয়ে আসতে পারবে সেরাম। কুড়ি থেকে ত্রিশ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরীর কাজ চলছে।

1 thoughts on “জুলাইয়ের ১ম সপ্তাহেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারে সেরাম, অক্সফোর্ডের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালও সাফল্যের দিকে

  1. Ami যাযাবর says:

    মানুষকে যা ইচ্ছে তাই বোঝাতে পারলেই হলো ! পদ্ধতি বলে একটা জিনিস আছে তো নাকি? এতে অপদার্থ সরকারের বা সংশ্লিষ্ট সংস্থারই বা কি লাভ কে জানে ! মানুষকে বিভ্রান্ত করা নাকি আশায় বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা কে জানে !

Leave a Reply to Ami যাযাবর Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *