আমাদের ভারত, ৫ জানুয়ারি: আগামী সপ্তাহে ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা টিকাকরন শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন। করোনাকে আটকাতে ভারতের কাছে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন রয়েছে এই মুহূর্তে। ডিসিজিআই ভি জি সোমানি আশ্বস্ত করেছেন দুটি ভ্যাক্সনিই ১০০% নিরাপদ ও সুরক্ষিত।
তিনি বলেছেন, টিকাকরণের পর কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিশ্বের মধ্যে ভারতই প্রথম দেশ যেখানে দুটি দেশজ ভ্যাক্সিনকে একসঙ্গে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুটি ভ্যাকসিন কাদের দেওয়া হবে, কিভাবে চলবে টিকাকরণ তার রূপরেখা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে আছে।
সবার আগে টিকা দেওয়া হবে নার্স, ডাক্তার সহ স্বাস্থ্য কর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছেন সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। এর যাবতীয় প্রক্রিয়া চলেছে হায়দ্রাবাদের ল্যাবে। অন্যদিকে অক্সফোর্ড অ্যস্ট্রোজেনেকার টিকা এখানে ট্রায়াল দিয়েছে ও তৈরি করেছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট।
দুটি ভ্যাক্সিনকেই শর্তসাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাক্সিন বন্টন ও প্রয়োগের তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।ইতিমধ্যে দেশের সব রাজ্যে দুদিনের ড্রাই রান হয়েছে। ১২৫ টি জেলার ২৮৬ টি কেন্দ্রে ড্রাইরান হয়েছে।
প্রত্যেককে এই টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হবে। ছাড়পত্রের অনুমোদন দেওয়ার পরই জনা প্রতি কত টিকা নষ্ট হতে পারে তার হিসেবও কষে ফেলেছে কেন্দ্র। ড্রাইরান থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে ১০ শতাংশের মতো টিকা নষ্ট হওয়ার হার থাকতে পারে। ফলেপ্রতি ১০০ জনে ১২২টি টিকা কিনতে হবে। এই দুটি টিকাই ২ -৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে সংরক্ষণ করা যাবে।