রাজ্যে ১ম করোনায় মৃত শবদেহ দেওয়া হবে না পরিবারের হাতে, কীভাবে হবে সৎকার ? বিশেষ নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

আমাদের ভারত,২৩ মার্চ: রাজ্যে প্রথম বলি করোনায়।
সোমবার বিকেলে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হল এরাজ্যে। আর তার মৃত্যুর পরেই সামনে এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ। কিভাবে সৎকার করা হবে ওই করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ? মুখ্যমন্ত্রীর নবান্ন থেকে সর্বদল বৈঠক এর মধ্যেই বিষয়টি দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। আর পাঁচটা মৃতদেহ যেভাবে সৎকার করা হয় , করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের একবারেই সেভাবে সৎকার করা সম্ভব নয়। কারণ মৃত ব্যক্তির ফুসফুস থেকেও এখনো ছড়াতে পারে সংক্রমণ। তাই মৃতদেহের অটোপ্সি করা যাবে না। সেই কারণেই মৃতদেহ কে পড়ানো হবে বিশেষ পোশাকে। এমনকি তাকে যারা ক্যারি করবেন তারাও পড়বেন বিশেষ পোশাক। মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না।

যে জায়গা দিয়ে ওই করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হবে বা হয়েছে সেই সব জায়গা গুলিকে বিশেষভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। তাছাড়াও মৃতদেহ নিয়ে থাকছে নানা বিধিনিষেধ। পরিবারের কেউ মৃতদেহ ছুঁতে পারবেন না। কভার খুলের শুধুমাত্র পরিবারকে মৃত ব্যক্তির মুখটাই দেখিয়ে দেওয়া হবে। এরপর যারা মৃতদেহ বহন করবেন তারাই সৎকার করবেন। যে ব্যক্তি মারা গেছেন তিনি হিন্দু হওয়ায় যদি কোন হিন্দু মত অনুসারে রীতি নীতি বা উপাচার করতে হয় তাহলে মৃতের আত্মীয়দের দূর থেকে করতে হবে। দেহ পোড়ানোর পর হিন্দুরীতি অনুযায়ী অস্থি বিসর্জন হয় ,তাই সেটা সংগ্রহ করা গেলেও খুব অল্প দ্রুত করতে হবে।

কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যুতে আতঙ্ক আরো কয়েকগুণ বেড়েছে। এই ব্যক্তি দমদমের বাসিন্দা। অসুস্থ হয়ে গত ১৩ তারিখ তিনি বাইপাসে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার বয়স ছিল ৫৭বছর। কদিন আগেই তাকে হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আজ তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সময় ওই ব্যক্তির জ্বর সর্দি কাশি ছিল প্রাথমিক লক্ষণ। তারপরতার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। শনিবার ধরা পড়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত লাভ হলো না। দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

ওই ব্যক্তির পরিবারের সকল সদস্যের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের ভর্তি করা হয়েছে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। এছাড়াও যে ৪২ জনের সংস্পর্শে এসেছেন ঐ ব্যক্তি,তাদেরকেও চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তাদের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে তারাও করোনায় আক্রান্ত কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *