আমাদের ভারত,৬ মার্চ:করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। প্রায় ৫০টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৯১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল চমকে দেওয়ার মতো এক তথ্য। তার বছর আগে ২০১৫ সালেই নাকি এই বিশেষ করোনা ভাইরাস সক্রিয় করা হয়েছিল। তাও আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রালফ ব্যারিক ২০১৫ সালে নেচার মেডিসিন পত্রিকায় একটি গবেষণা পত্র জমা দিয়েছিলেন। এই গবেষণার জন্য তিনি চীনের বাদুর, ঘোড়ার লালা সংগ্রহ করেছিলেন। ভাইরাসটির নাম দিয়েছিলেন এস এইচ সি- ০১৪। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংস্থা তরফেই জানানো হয় জৈব নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতেই এই গবেষণা চালানো হচ্ছে।
কিন্তু সেই সময়েই এই গবেষণার ক্ষতিকারক দিক নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অনুজীব বিশেষজ্ঞ রিচার্ড এডব্রাইট বলেছিলেন গবেষণাগারের ভিতরে থাকা এই করোনা ভাইরাস যদি কোনো ভাবে অ গবেষণাগারের বাইরে চলে আসে তাহলে তা প্রাণঘাতী হবে। সেই সময় তিনি সার্স ভাইরাসের কথা। স্মরণ এই করিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর কিছুদিন বাদে এই গবেষণার জন্য বরাদ্দ অর্থ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু জানা গেছে রাফল থামেননি। তিনি চীনের উহান ইনস্টিটিউট অফ ভায়রোলজিতে গবেষণা শুরু করেন। আর আজ এই উহানই করোনার আঁতুড়ঘর। একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন, ক্ষণিকের অসাবধানতাবশতই উহানের গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। মার্কিন স্বাস্থ্য সাংবাদিক সাদ ওলসোন দাবি করেছেন এই করোনার জন্ম আজ নয়। ২০১৫ সালেই জন্ম হয়েছিল করোনার তাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে।