IMF, Pakistan, ভারতের সঙ্গে সংঘাতে গেলেই বিপদ! কিস্তি না আটকালেও ঋণের টাকার অপব্যবহার নয়, পাকিস্তানকে নয়া শর্তে বাঁধল আইএমএফ

আমাদের ভারত, ১৮ মে: সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতেও জড়িয়েছে পাকিস্তান। তারপরেও পাকিস্তানকে ঋণ দিয়ে চলেছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফ। কিন্তু এবার পাকিস্তানকে সতর্ক করলো তারা। একই সঙ্গে একাধিক শর্ত চাপানো হয়েছে পাকিস্তানের উপর।

অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে সম্প্রতি ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ দিয়েছে আইএমএফ। ভারতের তরফে এই বিষয়ে আপত্তি জানানো হলেও নির্ধারিত সময়ে কিস্তির অর্থ পেয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে এবার পাকিস্তানকে সতর্ক করা হলো আইএমএফের তরফে। সংস্থার একটা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সংঘাত বাড়লে, সম্পর্কের অবনতি ঘটলে অর্থনীতি থেকে সবক্ষেত্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। ঋণের টাকার অপব্যবহার হচ্ছে, এমন কোনো অভিযোগ সামনে আসলে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

আগামী অর্থবর্ষে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট ২.৪১৪ ট্রিলিয়ন রাখা হয়েছে আপাতত। যা আগের বছরের তুলনায় বারো শতাংশ বেশি। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের কথা মাথায় রেখে যদিও তা ১৮% বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল শেহবাজ শরিফের সরকার।

ঋণের কিস্তি না আটকালেও পাকিস্তানকে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। ১১টি নতুন শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। এখনো পর্যন্ত মোট ৫০টি শর্ত চাপানো হয়েছে পাকিস্তানের ওপর। নতুন শর্ত চাপিয়ে আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২৬ অর্থবর্ষে যে বাজেট তা পাক সংসদের অনুমোদন প্রাপ্ত হতে হবে। ১৭.৬ ট্রিলিয়ন- এর মধ্যে ১.০৭ ব্রিলিয়ান খরচ করতে হবে উন্নয়ন খাতে। নতুন কৃষিকর ব্যবস্থা চালু করতে হবে পাকিস্তানকে। ডিজিটাল মাধ্যমে যাতে করদাতারা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। শাসন কার্যে কী কী সংস্কার আনা হচ্ছে তা বিশদে জানতে হবে পাকিস্তানকে। কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে তা জানাতে হবে আইএমএফকে।

২০২৭ সালের পর অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে কী কী পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে এবং ২০১৮ সাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কী কী সংস্কার ঘটানোর লক্ষ্য রয়েছে তার নীল নকশাও জমা দিতে হবে। বিদ্যুৎ জ্বালানি থেকে আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ২০৩৫ সালের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, স্পেশাল টেকনোলজি জোন গড়ার নকশা জমা দিতে হবে এ বছরের মধ্যে। বিদেশ থেকে আনা পুরনো গাড়ি আমদানির উপর বিধি নিষেধ চাপাতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *