সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া ২ অক্টোবর: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের রুট মার্চ বা পথ সঞ্চলনকে ঘিরে বাঁকুড়ায় উন্মাদনা দেখা যায়। আজ বিকেলে বাঁকুড়া শহরের বিডিআর রেলওয়ে মাঠ থেকে পথ সঞ্চালন শুরু হয়। স্টেশন মোড়, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, রাসতলা রানীগঞ্জ মোড়, সুভাষ রোড হয়ে কালীতলায় শেষ হয়। পথ সঞ্চালনের সময় রাস্তায় জায়গায় জায়গায় পুষ্পবৃষ্টি করে স্বয়ং সেবকদের অভ্যর্থনা জানানো হয়।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক সংগঠন। আর কয়েকদিন পর বিজয়া দশমীতে সংগঠনটি শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর পূন্য লগ্নে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতির মূল আদর্শ নিয়ে পথ চলা শুরু করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। এই ১০০ বছরের পথ চলায় সংগঠনের আদর্শ বিশ্ববাসীকে চমৎকৃত করেছে।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবকরা প্রতিবছর মহালয়ার দিন তাঁদের কর্মধারা অনুযায়ী দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরিধান করে রুট মার্চ করেন। এঁদের ইউনিফর্মকে গণবেশ বলা হয় এবং রুট মার্চকে ‘পথ সঞ্চলন’। মূলতঃ জেলা কেন্দ্রগুলিতেই এই রুট মার্চ হয়, তবে কিছু কিছু জায়গায় খণ্ড স্তরেও হয়। বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাঁটি খণ্ডে সঙ্ঘের সংগঠন বেশ পুরনো। এবারও বাঁকুড়া শহরে রুট মার্চ হওয়ার সাথে সাথে গঙ্গাজলঘাঁটিতেও রুট মার্চ অনুষ্ঠিত হলো। ৪ কিমি পথ সঞ্চলন করে বেলা ১১টা নাগাদ অমরকাননে গিয়ে শেষ হয়।
এই পথ সঞ্চলনে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জেলা প্রচারক রবীন ব্যানার্জি, জেলা কার্যবাহ সন্দীপ মহাপাত্র, স্বয়ংসেবক সুখময় মাজি এবং খণ্ড প্রচারক নেহেরু রায়। নেহেরু রায় বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক সংগঠন হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। আমাদের উদ্দেশ্য, সমগ্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে সনাতন সংস্কৃতির রক্ষণ ও বিকাশ। সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমরসতা আনার মাধ্যমেই এই কাজ সম্ভব। তিনি বলেন, পথসঞ্চলন আমাদের নিয়মিত ও বার্ষিক কার্যক্রমেরই অংশ। এই সব কার্যক্রমের মাধ্যমেই সমরসতা বৃদ্ধি পায়।