সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৪ ডিসেম্বর: কয়েক হাজার কর্মরত চিরুনি শ্রমিক ধারাবাহিক বঞ্চনার শিকার। তার ফলে তীব্র সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে তাদের। একাধিকবার মিছিল মিটিং ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর আজও চিরুনি শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি চালু হয়নি বলে অভিযোগ। অন্তবর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রমদপ্তরের জারি করা একাধিক নির্দেশিকা চিরুনি শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। এর প্রতিবাদে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর চিরুনি শ্রমিকরা।
গত ছয় মাস ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন বিক্ষোভ হয়েছে। বারবার শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর সুনির্দিষ্ট সমাধান হলেও পরবর্তীতে মালিকরা সেই টাকা দিচ্ছে না। এর প্রতিবাদে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করল শ্রমিকরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ পৌরসভা, ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও কালোপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৩৫টি চিরুনির কারখানা আছে। যশোরের বিখ্যাত সেলুলয়েড চিরুনি বেশ পরিচিত। ১৯৬০ সাল থেকে বনগাঁয় এই শিল্প রয়েছে, যা ভারতবর্ষের কোথাও এই সেলুলয়েড চিরুনির কারখানা নেই। বনগাঁর চিরুনি বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে দিল্লি, মুম্বাই সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দেয়। বর্তমানে বনগাঁয় ১৩৫টি কারখানায় প্রায় এক হাজার শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন মহিলা। যারা দৈনিক চুক্তিতে কাজ করেন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় করেন। এর ফলে তীব্র সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে তাদের। ধর্মঘটি অনিল পাল, ঈশ্বরচন্দ্র গোলদার বলেন, মজুরি বৃদ্ধি না হলে এই সামান্য টাকায় কাজ করা সম্ভব না।
অন্য দিকে মালিক পক্ষের জীবন রায় বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে।