আমাদের ভারত, সোনারপুর, ২৫ মার্চ: রাজ্য জুড়ে লকডাউনকে সফল করতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ। লকডাউন না মানলে জুটছে পুলিশের লাঠি। পুলিশকে আচমকা যেন নিজেদের ফর্মে ফিরে পাওয়া গিয়েছে মঙ্গলবার থেকে। সরকারি নির্দেশকে বাস্তবে প্রণয়ন করতে লাঠি হাতে আইন ভঙ্গকারীদের ধোলাই দিতে দেখা যাচ্ছে পুলিশকে। এরই মধ্যে এক অন্য ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরে। সেখানে পুলিশের মানবিক উদ্যোগে প্রাণে বাঁচলেন এক প্রসূতি। যন্ত্রণায় কাতর সুভাষগ্রামের বাসিন্দা জ্যোতি দেবীকে নিজের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন সোনারপুর থানার আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী। অবশ্য হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই গাড়ির মধ্যে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
রাজ্য জুড়েই লাঠিধারী পুলিশের দাপট চলছে লকডাউনকে সফল করতে। সেখানে এদিন অন্যরকম ছবি ফুটে উঠল সোনারপুরে। এদিন লকডাউন কার্যকর করার জন্য রাস্তায় ঘুরছিলেন সোনারপুর থানার আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী। রাস্তায় তিনি জ্যোতিদেবীর স্বামী সুরেন্দ্রবাবুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে বাড়িতে ঢুকতে বলেন। বিশেষভাবে সক্ষম সুরেন্দ্রবাবু সোনারপুর থানার আইসিকে নিজের সমস্যার কথা বলেন। বাড়িতে স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছেন বলে জানান পুলিশকে। বিষয়টি জানতে পেরেই নিজের গাড়িতেই জ্যোতি দেবীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসেন সুভাসগ্রাম হাসপাতালে। সাথে নিয়ে আসেন এলাকার দুই মহিলাকেও। আদতে বিহারের বাসিন্দা সুরেন্দ্রর, বিগত দুবছর ধরে তারা রয়েছেন সোনারপুরে। পথে গাড়ির মধ্যেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন জ্যোতি দেবী। কিন্তু তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসার ফলে চিকিৎসা শুরু হয়ে যায় মা ও সন্তানের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আপাতত ভালো আছেন মা ও মেয়ে দুজনেই। সঞ্জীব বাবু বলেন, “মানুষের পাশে থাকাই আমাদের কর্তব্য। আজ লকডাউনকে সফল করতে পুলিশ যে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে তাও মানুষেরই জন্য। শুধু সকলকে বলব বাড়ি থাকুন। সুস্থ থাকুন”।