আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১ এপ্রিল: কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ি। ঝড়ে মৃত চারজন আহত প্রায় ৩ শতাধিক। সোমবার মৃতের পরিবার ও আহতদের দেখতে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে ১২:৩৫ মিনিট নাগাদ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ মিনিট হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় থাকা ঝড়ে আহতদের সাথে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সবাইকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
জলপাইগুড়ি গোশালা মোড়ে মৃত অনিমা বর্মনের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে, মুখ্যমন্ত্রী চলে যান সেনপাড়াতে। সেখানে গাছ পড়ে মৃত দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ সরকারের বাড়িতে যান। সেখানে পরিবারের সাথে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে আসেন জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আহতদের সাথে দেখা করেন। সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমি জেলাশাসকের সাথে কথা বলেছি। ৬০০-৭০০ বাড়ি ক্ষতি হয়েছে।আমি প্রশাসনের কাছে জানতে পারলাম উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে উদ্ধারের কিছু নেই। ডাক্তার, নার্স, প্রশাসন ভালো কাজ করেছে। ক্রিটিকাল রোগীকেও সার্ভিস দিয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনা। বাংলায় ঝড় বেশি হয় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবাংলা নদী মাতৃক দেশ। আজ মাত্র তিন মিনিট ঝড় হয়েছে। যারা মারা গিয়েছেন তাদের বাড়ি গিয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই, তারা উদ্ধারকাজ ভাল করেছে। এখন তিনমাস ভোট চলবে এই সময়ে ঝড় হয়। এটা কিন্তু এমারজেন্সি।প্রশাসন সাধ্যমত কাজ করবে। ভোট ঘোষনা হয়ে গেলেও প্রশাসন মানুষের পাশে থাকবে। প্রশাসন তাদের ঘর বাড়ি থেকে শুরু করে সব সহযোগীতা করবে। প্রশাসন ক্ষতিপুরণ দেবে। ক্ষতির পরিমান জেনে গিয়েছি। জীবন চলে গেলে জীবন পাওয়া যায় না। এদিন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে যান ময়নাগুড়ির বার্নিস গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।