আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১২ ফেব্রুয়ারি: জেলার সব খবরই যে মুখ্যমন্ত্রী রাখেন তা আরও একবার প্রমাণ করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান- উপ-পৌরপ্রধানের বিবাদও সর্বজনবিদিত। তবে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ ভুরি ভুরি। জনসাধারণের উপর হামলার বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেনি জনতা জনার্দনও। আর সেই ঘটনারই প্রতিফলন দেখা গেছে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। বাঁকুড়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রই হাত ছাড়া হয়েছে ঘাস ফুল শিবিরের। মাথা তুলে দাঁড়িয়ে বাঁকুড়া জেলায় শেষ হাসি হেসেছে পদ্ম শিবির। তবে এবার হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে শাসক শিবির।
পৌরভোট দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। আসন্ন পৌরভোটের আগে ২০১৮ সালের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বুধবার বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়ার পৌরপ্রধানকে কার্যত তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান সভায় আছেন কি না জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই পৌরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি কি কাজকর্ম কিছুই করেন না? আপনার বিরুদ্ধে এতো এতো অভিযোগ কেন? আপনি তো কোন কাজই করেন না।” পৌরপ্রধান নিজেকে ‘হনু’ মনে করেন অভিযোগ করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নিদান দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে পৌর এলাকার মানুষের সাথে জনসংযোগ বাড়ানোর কথা বলেন। এমনকি সভায় না থাকা সত্ত্বেও উপ-পৌরপ্রধান দিলীপ আগর ওয়ালের কাজের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।