জনস্রোতে ভেসে লালগড় পৌঁছালেন ছত্রধর 

আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২ ফেব্রুয়ারি: জনস্রোতে মিশে গিয়ে রবিবার লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালেন লালগড় আন্দোলনের নেতা ছত্রধর মাহাতো। এদিন সকালে কোলকাতা থেকে রওনা দিয়ে বিকেলে লালগড়ে পৌঁছান তিনি। তারপর তার পুরনো দিনের সঙ্গীদের সঙ্গে র‍্যালি করে নিজের বাড়িতে পৌঁছান। লালগড়ের ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মাহাতর নির্দেশে দলের পতাকা নিয়ে র‍্যালিতে যোগদেন লালগড়ের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ছত্রধর মাহাতোর একদা আন্দোলনের সঙ্গী শ্যামল মাহাতোর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নিয়তি মাহাতো ও ছেলে ধৃতি।

লোধাশুলিতে ছত্রধর মাহাতকে সংবর্ধনা জানায় তার অনুগামীরা। লোধাশুলি থেকে ১০০ বাইক র‍্যালি করে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত আসে। ঝাড়গ্রামের বেত কুন্দরিতে আরো ৩০০ বাইক যোগ দেয় র‍্যালিতে। দহিজুড়িতে তার গাড়ি দাঁড়ালে সাধারণ মানুষ  দুপাশে ভিড় করে তাকে দেখার জন্য। সেই মুহুর্ত ক্যামেরাবন্দি করে রাখে অনেকে। সেখান থেকে লালগড় পার্টি অফিসে পৌছান তিনি। রাস্তায় একাধিক জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে মানুষ সংবর্ধনা জানায়। ছত্রধর মাহাতো জানান ১১ বছর পর আকাশ এবং আকাশের সূর্য দেখে ভালো লাগছে। ভালো লাগছে মায়ের পাশে আসতে পেরে। যারা আমার লড়াইয়ের সঙ্গী ছিলেন তাদের পাশে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। লালগড় আন্দোলনে জনসাধারণের কমিটির নেতা বলেন, আজকে আগের মতই জনস্রোতে ভাসছি।

রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এলাকার তথা জঙ্গলমহলের রূপের পরিবর্তন হয়েছে। আমার আন্দোলনে সমর্থন জানানোর জন্য এবং আজকে ফের  পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য সমস্ত জঙ্গলমহলবাসীকে আমার ধন্যবাদ জানাই। লোধাসুলি থেকে লালগড়ে আসার সময় বহু জায়গায় র‍্যালি আটকে জনতার ঢেউ। তাদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখে মনে হয়েছে মানুষের ভাবাবেগ আগের মতোই রয়েছে। যে সমস্ত দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন করা হয়েছে তার অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মানুষের চাহিদা পূরণে আরো দাবি থাকবে। ভবিষ্যতে মানুষের অভাব অভিযোগের আন্দোলনে সব সময় ছত্রধর মাহাতো থাকবে।

ভবিষ্যতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে ছত্রধর মাহাতো বলেন, তৃণমূল যখন প্রয়োজন মনে করবে তখন বিষয়টি নিয়ে ভাববো। তবে সে ক্ষেত্রে আমার নিজেরও কিছু সমস্যা থাকতে পারে। জঙ্গলমহলের মানুষের এখনো যেসব অভাব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো সমাধান করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন ছত্রধর মাহাতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *