Chandipura virus, চাঁদিপুরা ভাইরাস আতঙ্ক! ৫ দিনে প্রাণ গেল ৬ শিশুর

আমাদের ভারত, ১৬ জুলাই: কোভিড মহামারীর আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জীবন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করেছিল করোনা শেষ হয়নি। এরপর আরো একাধিক ভাইরাসের প্রকোপে মহামারী ছড়াতে পারে। সেই ভাইরাসের তালিকায় সম্ভবত ঢুকে পড়েছে চাঁদিপুরা বা এসএইচভি। ইতিমধ্যেই ছয় শিশুর প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। সম্প্রতিক সময়ে গুজরাটে এই ভাইরাসের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। সেই রাজ্যে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাও মাত্র ৫ দিনের মধ্যে।

এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই গুজরাটের স্বাস্থ্য দপ্তর বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। ভাইরাসের বাড় বারন্ত যাতে না হয় তার জন্য জেলায় জেলায় সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে চার জন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল। এখন সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১২। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হলেও আপাতত ভয়ের কিছু নেই।

তবে ভাইরাসের প্রকোপ যাতে না বাড়ে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আম জনতাকে সতর্ক করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে গোটা দেশের অল্পসংখ্যক জায়গায় এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। শুরু থেকেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন।

এই রোগ মূলত মশা থেকে ছড়ায়, ৯ মাস থেকে ১৪ বছর বয়সীরা সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসে। চিকিৎসকরা বলছেন বর্ষাকালের সময় সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যায় এই ভাইরাসের। চাঁদিপুরার প্রধান উপসর্গ জ্বর এবং প্রবল মাথাব্যথা। জ্বর বাড়তে থাকলে খিঁচুনি শুরু হয়। বমি ভাব দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে ডায়রিয়া হতে পারে। গুজরাটের স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি শিশুরা আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছে। স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে রোগের উপস্বর্গ দেখা দিলেই যেনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়। ভারতে প্রথম এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রের চাঁদিপুরা গ্রামে। সেই গ্রামের নামই এই ভাইরাসের নাম দেওয়া হয়। দেশের বাইরেও এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গেছিল। নাইজেরিয়া নেপাল ভুটান শ্রীলংকা থেকে কয়েক জন আক্রান্তের খবর এসেছিল আগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *