পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ মার্চ: অবিভক্ত মেদিনীপুরের অন্যতম প্রাচীন সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছন্দম মিউজিক অ্যাকাডেমীর ৫৪তম বর্ষ বসন্তোৎসব অনুষ্ঠিত হল বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের সুসজ্জিত মঞ্চে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে ‘রঙেতে ফাগুন সাজলো’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও চিকিৎসক ডাঃ বিমল গুড়িয়া, সসমাজসেবী সুব্রত সরকার, আইনজীবী গৌতম মল্লিক, শিক্ষাব্রতী সত্যব্রত দোলুই, বিশিষ্ট উদ্যোগপতি চন্দন বসু প্রমুখ বিশিষ্ট জনেরা।
মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রতিষ্ঠানের কণর্ধার মেদিনীপুরের প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীত শিল্পী বিশ্বেশ্বর সরকারের লেখা এবং সুর করা দুটি গানের মধ্যে দিয়ে।গান দুটি পরিবেশন করেন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা। কবি অঞ্জনা পালের ‘ফিরে দেখা’ নামে একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয় এই মঞ্চে। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী জয়ন্ত সাহা, আশিস সরকার, সৌমেন চক্রবর্তী, রথীন দাস, সুমনা সরকার, দেবযানী রায়, দেবাশিষ কর, চন্দন মিশ্র, অতনু দাস, অনিরূদ্ধ মুখার্জি ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা। নৃত্য পরিবেশন করেন তিন নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মল্লার, নৃত্যাঞ্জলি ও রবিসপ্তকের শিক্ষার্থীরা।
এই অনুষ্ঠানে প্রায় চল্লিশটি গান ব্যবহার করা হয, সব কটি গানের রচয়িতা এবং সুরকার বিশ্বেশ্বর সরকার। সুরের সঙ্গে বাণীর মেলবন্ধন ঘটিয়ে বিশ্বেশ্বর সরকার আবারো প্রমাণ করেলেন, গঙ্গার এপারেও বাংলার একজন বিশিষ্ট গীতিকার সুরকার রয়েছেন। আয়োজক সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনের প্রাণভ্রমরা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী বিশ্বেশ্বর সরকার এখনও পর্যন্ত দু’হাজারের বেশি গান লিখে সুর দিয়েছেন। গান সংক্রান্ত পাঁচটি বই ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘স্বরলিপি’ সহ। বাকি গানের স্বরলিপিও অদূর ভবিষ্যতে প্রকাশ পেতে চলেছে।