আমাদের ভারত,২০ ফেব্রুয়ারি: আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাস ইস্যুতে যখনই পাকিস্তানের ভূমিকার প্রসঙ্গ উঠেছে তখনই ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। তবে এবার সেই চিন নিজের অবস্থান সম্পূর্ণ পাল্টে ভারতের পাশে দাঁড়ালো। ভারত সহ আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশ গুলি সন্ত্রাস দমনে যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে চলেছে এফটিএফের পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে চিনও। তবে শুধু চিন নয় এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে সৌদি আরবও। বিষয়টিকে মোদী সরকারের কূটনৈতিক জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আগামী জুন মাসে এফটিএফের প্লেনারি সেশন বা পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। তার আগে চিন ও সৌদি আরবের এই অবস্থান বদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। জঙ্গিদের অর্থ সরবরাহ, কার্যকলাপের ওপর নজরদারি তথা ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে সবচেয়ে বড় সংস্থা এফটিএফ। জঙ্গিবাদে মদত, অর্থ জোগানের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে ভারতকে ধূসর তালিকায় ফেলেছে এফটিএফ। এই ধূসর তালিকায় থাকার অর্থ সেই দেশকে নিরাপদ মনে করা হয় না। ধূসর তালিকাভুক্ত করা মানে সে দেশকে সতর্ক করা। এর পরের ধাপই হলো কালো তালিকা। অর্থাৎ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে সেই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করবে এফটিএফ।
বহুদিন ধরে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখা ছাড়াও সন্ত্রাস দমনে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিকবার বার্তাও দিয়েছে এফটিএফ। কিন্তু তাতে তেমন কোনো কাজ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে জুন মাসে বসতে চলেছে এফটিএফের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। ফলে তার আগে আন্তর্জাতিক মহলে নজর কাড়ার মতো কোনো কড়া ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তির নির্দেশ পাকিস্তানকে দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
চিন এবং সৌদি আরবের এই অবস্থান অন্তত এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে জুনের আগে পাকিস্তান উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তাকে ধূসর তালিকাতেই রেখে দেওয়া হবে। সন্ত্রাস ইস্যুতে চিন সৌদি আরব বরাবরই পাকিস্তানের পাশে দাড়িয়েছে। কিন্তু এবার পাকিস্তান চিন এবং সৌদি আরবকে পাশে না পাওয়ায় পাকিস্তানে বিপদ বাড়তে পারে। পাকিস্তানের পাশে একমাত্র রয়েছে তুরস্ক। বাকি সব দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একজোট।