রাজেন রায়, কলকাতা, ৩০ জানুয়ারি: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের নারদ কান্ডের সময়ে রাজ্যের চার তৎকালীন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য অনুমতি চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠাল সিবিআই। তবে চারজনের মধ্যে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এখনও তৃণমূলে থাকলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় দেড় বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই নিয়ে কথা বলার জন্য শনিবার বিকেলে রাজভবনে যায় সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল।
সিবিআইয়ের দাবি, দুর্নীতিদমন আইনের ১৯ নম্বর ধারায় রয়েছে, পাবলিক সার্ভেন্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গেলে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। আর ঠিক সেই কারণেই তদন্ত সম্পূর্ণ করার পরেও এর আগে লোকসভায় অনুমতি চেয়েও পরে চার্জশিট পেশ করা যায়নি।
সিবিআই সূত্রে খবর, নারদকাণ্ডে এর আগে লোকসভার চার সাংসদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। তার জবাব এখনও মেলেনি বলে সিবিআইয়ের দাবি। আর এবার এখানে মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল আনুষ্ঠানিক নিয়োগকর্তা বলে তাঁর অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে নারদ-কাণ্ড সামনে আসে। প্রাক্তন নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের ওই স্টিং অপারেশনের ফুটেজে দেখা যায়, শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ টাকা নিচ্ছেন। ওই ফুটেজে দেখা যাওয়া অনেকেই পরে বিজেপিতেও সামিল হয়েছেন। এর আগেও সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চেয়ে লােকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। প্রসঙ্গত, ওই ফুটেজে যাঁদের দেখা গিয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটেছে। ২০১৮ সালে তৃণমূল সাংসদ থাকাকালীনই প্রয়াত হন সুলতান আহমেদ।