আমাদের ভারত,৪ ডিসেম্বর:নাগরিকত্ব বিলের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই বিলটি পেশ করা হয়। এই বিলে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামী সপ্তাহে এই বিল সংসদে পেশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এঈ বিলে বলা হয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ প্রতিবেশী দেশ থেকে যে সমস্ত অমুসলিমরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতবর্ষের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তাদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার। তার জন্য তাদের এদেশে ৬ বছর বসবাস করতে হবে।
এই বিলে মুসলিমদের বিষয়ে কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি। ধর্মের ভিত্তিতে কেন এই বিভেদ তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা।
অন্যদিকে এনআরসির ফলে অসমীয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের মধ্যে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের ধারণা এর প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচন গুলিতে। তাই এই বিষয়ে সংশয় কাটাতে দ্রুত বিলটি সংসদে আনতে চাইছে বিজেপি। আর সেই জন্যই মন্ত্রী সভাতেও বিলটি সম্পর্কে। সম্যক ধারণা তৈরি করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়খন্ড নির্বাচন উপলক্ষে রাঁচির এক জনসভায় অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, ২০২৪ সালের আগেই সারাদেশে নাগরিকপঞ্জি তৈরি হবে। চিহ্নিত করে ফেলা হবে অনুপ্রবেশকারীদের।
অন্যদিকে কংগ্রেস, তৃণমূল সিপিএম সহ বেশ কয়েকটি বিরোধীদল ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করেছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব বিলটি আসতে চলেছে তা আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল। আর সেই ইঙ্গিত মেলা মাত্রই উত্তর-পূর্বের রাজ্যে বিলের বিরোধিতায় প্রতিবাদ শুরু হয় যায়।
গত লোকসভায় বিলটি পাস হলেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সেই কারণেই বিলটি খারিজ হয়ে যায়। বিরোধীরা সহ বিজেপি জোট শরিক এনপিপির প্রধান মেঘালয় মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সংমা নেতৃত্বে বেশ কিছু দল এই বিলের বিরোধিতা করে।
এবার দেখার নতুন বিলের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যায়।