আমাদের ভারত, ৩০ জানুয়ারি:
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ লাগু হয়ে যাবে। এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি তাঁদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন অমিত শাহ যদি বলে থাকেন, তাহলে তিনি তা অবশ্যই করবেন।
অন্যদিকে কটাক্ষের সুরে তিনি জানান, এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও একটি এক্তিয়ার নেই। সুকান্ত মজুমদার বলেন, এ দেশে কে নাগরিক হবেন তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। ২০১৯ এ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি দ্বিতীয়বার ক্ষমতা আসার পরই সংসদে সি এ এ পাস করানো হয়। রাষ্ট্রপতিও এই বিলে সম্মতি দেন। তারপর দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সম্পত্তির প্রভূত ক্ষতি করেন বিক্ষোভকারীরা।
নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রবর্তিত সিএএ তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান অধিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, সারা দেশে উদ্বাস্তু রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুদের যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে ভারত তা উপেক্ষা করতে পারে না।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ১৯৪৫ থেকে হিন্দু শরণার্থীদের যে দাবি ছিল তা পূরণ হতে চলেছে। তিনি আরো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবার তা পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন তা পূরণের সময় এসে গেছে। এর আগে রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সারা দেশে সিএএ লাগু হবে। শুভেন্দু অধিকারী সোমবার বলেছেন, সিএএ লাগু করার চেষ্টা চলছে। এই আইন লাগু হলে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। মার্চেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তাই ফেব্রুয়ারিতেই আইন-চালুর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্র সরকার। এই আইন সারা দেশের লাগু হলে বাংলায় বিজেপি আলাদা করে বিজয় উৎসব পালন করবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।