আমাদের ভারত,১৯ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণের বহু রাজ্য। বহু জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। যদিও তা উপেক্ষা করেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আইনের বিরোধিতা করে বেঙ্গালুরুতে আটক হয়েছেন ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র গুহ। কোথাও হয়েছে রেল অবরোধ, কোথাও পুড়েছে বাস।
সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে বেঙ্গালুরু। নাগরিক আইনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন। টাউনহলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনি। ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল সেখানে। কিন্তু তা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা সেখানে জড়ো হন। সেখান থেকেই রামচন্দ্র গুহ সহ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। ইতিহাসবিদ বলেন, “সংবাদমাধ্যমকে সংবিধান নিয়ে বলার সময় আমাকে আটক করেছে পুলিশ ।আমার হাতে ছিল গান্ধীজীর একটি প্ল্যাকার্ড।” তার প্রশ্ন দেশে কি স্বৈরতন্ত্র চলছে? শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশে পুলিশ এহেন কাজ করলো। ব্যাঙ্গালুরুতে বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার অব্দি জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন হিংসা এড়াতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কারফিউ জারি করা হলো।
প্রতিবাদী মিছিল করেছে চন্ডিগড়ের ছাত্ররা। অন্যদিকে বিহারের এক বামপন্থী সংগঠনের ডাকা বনধ শুরু হয়েছে। সকালে পূর্ব মধ্য রেলওয়ে দানাপুর বিভাগে ও পাটনা বিভাগে রেল অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা।
এদিকে বুধবার মধ্যরাত থেকেই ১৪৪ ধারা জারি হয় উত্তর প্রদেশে। রাজ্য পুলিশের ডিজি টুইট করে জানিয়ে দেন “১৯ ডিসেম্বর কোন প্রকার জমায়াতের অনুমতি দেয়া হয়নি। দয়া করে অংশগ্রহণ করবেন না। অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ তারা তাদের সন্তানকে বোঝান।” সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার বিরোধীরা সিএএ-র বিরুদ্ধে পথে নামতে চলেছিল।কিন্তু তার আগেই রাজ্যে জারি করে দেওয়া হয় ১৪৪ ধারা।
তারপরেও সিএএ প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার রণক্ষেত্র চেহারা নেয়। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের গাড়ি বাসে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।