আমাদের ভারত, ১০ ফেব্রুয়ারি: লোকসভা ভোটের আগে দেশের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অর্থাৎ সিএএ লাগু হবে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, চলতি বছরে লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ কার্যকরের বিষয় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই সিএএ সংসদে পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এদেশে আশ্রয় চান তাহলে তাতে ভারত সহযোগিতা করবে।
সংসদের দুই কক্ষে এই বিল পাশের পর রাষ্ট্রপতিও অনুমোদন দিয়েছিল এই বিলে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই সংক্রান্ত আইনের ধারা তৈরি হয়নি। জানুয়ারি মাসে আইনের ধারা তৈরির জন্য সপ্তম বার সময় বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দিয়েছিল সংসদীয় সচিবালয়। সূত্রের খবর, সেই কাজ শেষ হতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সাড়ে চার বছর ধরে বিষয়টি ঝুলে থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হিন্দু উদ্বাস্তু সমাজের একটা বড় অংশের মধ্যে। লোকসভা ভোটের আগে তাদের মন পেতেই তড়িঘড়ি সিএএ কার্যকর করতে সক্রিয় হলো মোদী সরকার বলে মত তাদের।
শনিবার দিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় শাহ স্পষ্ট করে সিএএ দেশের একটি আইন, তা অবশ্যই কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে কোনো সংশয় থাকা উচিত নয়। পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি ধর্মীয় পরিচয় ভিত্তিতে সিএএ কার্যকরে বিরোধী। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি মাথায় রেখেই গোটা প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের করণীয় ভূমিকা প্রায় ন্যূনতম রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। ভাবা হয়েছে নাগরিকত্ব পাওয়ার সামগ্রিক পরিকল্পনা অনলাইনের মাধ্যমে রূপায়িত হবে। একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ইচ্ছুকরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী কোন সালে ভারতে প্রবেশ করেছিল সেই তথ্য পোর্টালে দিতে হবে। ওই আবেদন খতিয়ে দেখে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।