আমাদের ভারত, ১ মে: যোগী আদিত্যনাথের সভা থেকে ফেরার পথে হামলা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের ওপর, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুর ও সিঁড়িতে। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে যোগীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের বাসে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে সিউড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ের কাছে বাস ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। সভা থেকে ফেরার সময় হঠাৎ তাদের বাস লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। বিজেপি মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক শ্রীদাম মন্ডল তাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। এরপর পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা তাদের বাস লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে। একেবারে জঙ্গি কায়দায় মুখে সাদা কাপড় বেঁধে তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মী থাকা বাসটিতে এলোপাথাড়ি পাথর ছোড়ে। হামলায় কমবেশি ৩০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।”
মঙ্গলবার দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম অশান্তি সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনা চলে আসেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
অন্যদিকে সিউড়িতেও এই একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। যোগীর সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেখানে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের কোমা পঞ্চায়েতের গ্যাংটি গ্রামে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থকের বাড়িতে আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়ে সিউড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনার প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। বিজেপির কর্মীদের কথায় যোগীর সভাতে যাওয়ার জন্যই এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কারণ তৃণমূলের নেতারা মঙ্গলবার আগেই হুমকি দিয়েছিল, কেউ যেনো যোগীর সভায় না যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মঙ্গলবার ভোট প্রচারে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বহরমপুর, সিউড়ির পর তিনি জনসভা করেন খাঁদড়াতেও। যোগী দাবি করেছেন, বাংলাকে হিন্দু বিহীন করার ষড়যন্ত্র চলছে। রামনবমীর অশান্তির ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। অশান্তি ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এরপর আবার তাঁর সভা থেকে ফিরিয়েই আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা।