আমাদের ভারত, ১ ফেব্রুয়ারি:বিতর্কিত নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু’মাস ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বাজেট পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, এই বাজেটের হৃদয়ে রয়েছে কৃষক ও গ্রাম। মোদীর কথায় এবারের বাজেট প্রো-অ্যাকটিভ এতে কৃষকদের আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজেট পেশের সময় নির্মলা সীতারামও বলেছেন, কৃষক কল্যাণের প্রতি সরকার দায়বদ্ধ।
“গাঁও এবং কিষান বাজেটের হৃদয়” এমনটাই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজেটের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্রকে মজবুত করা ও কৃষকদের আয় বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে বাজেটে। কৃষকদের আয় আরো বাড়বে। কৃষি পরিকাঠামো তহবিল থেকে মান্ডিগুলিকে উন্নত করা হবে। এবারের বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিমত, এমন বাজেট দুর্লভ। বাজেট পেশের প্রথম ঘণ্টাতেই বেশ কিছু ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে। করোনা মোকাবিলায় সাধারণ নাগরিকদের ওপর করের বোঝা বাড়াবে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। কোষাগার ঘাটতি মাথায় রেখেও বাজেটের আয়তন বেড়েছে। বাজেট স্বচ্ছ হওয়া উচিত। আজ অনেক বিশেষজ্ঞই বাজেটের স্বচ্ছতার প্রশংসা করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বাজেটে বলেছেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৭৫ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল। এতে ৪৩.৬ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছিলেন। এবার ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকায় কৃষকদের থেকে ফসল কেনা হবে। কৃষকদের ঋণ দেওয়া হবে ১৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা। মাছ চাষিরাও ঋণ পাবেন। ১.৮৬ কোটি কৃষক ইতিমধ্যে অনলাইনে কৃষি বাজারের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। কৃষি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো নির্মাণ ও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আধুনিক মৎস্য চাষের জন্য বন্দর নির্মাণে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এতে কর্মসংস্থানও বাড়বে।