BSF, Petrapol border, থমথমে পেট্রাপোল সীমান্ত, পরিস্থিতি পরিদর্শনে বিএসএফের ডিজি

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৭ আগস্ট: বাংলাদেশের পরিস্থিতির কারণে পেট্রাপোল সীমান্তের অবস্থা কেমন আছে, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন বিএসএফের ডিজি দলজিত সিং চৌধুরী। সীমান্তে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন। তবে এই কর্মসূচি নিয়ে এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিন বিএসএফের এডিজি (ইস্টার্ন কমান্ড)‌ রবি গান্ধী, আইজি (‌দক্ষিণবঙ্গ) ‌মণিন্দর প্রতাপ সিং সহ অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শন করেন এবং জওয়ানদের সামনে জটিল অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করেন ডিজি। ১৪৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ব্যাটালিয়নের অপারেশনাল পদ্ধতি সম্পর্কে ডিজিকে বর্ণনা দেন। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের রনঘাট বর্ডার আউট পোষ্টটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। সেখানে এই মুহূর্তে মোতায়েন রয়েছে বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়ন। এদিন এই আউট পোস্টটিও পরিদর্শন করেন বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

বিএসএফ সূত্রে জানাগেছে, এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল, এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং অন্যান্য চোরাচালান মোকাবিলার পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিএসএফ-এর কৌশলগত এবং অপারেশনাল প্রস্তুতি ও মোতায়েনের কৌশলগুলি মূল্যায়ন করা। একইসাথে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন নড়াইল জেলা থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছান এক বাংলাদেশি নাগরিক। তিনি তাঁর পরিবারকে চিকিৎসার জন্য ভেলোরে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতে এসেছেন। এদিন তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যের পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেছে। পথে তাঁদের কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলা থেকে চোখের চিকিৎসা করাতে ভারতে আসা এক বাংলাদেশি নাগরিক জানান, ‘বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকেরা। তাই তড়িঘড়ি চিকিৎসার কাজ শেষ না করেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতির কারণে কিছুটা উদ্বিগ্নই রয়েছি।’

গত কয়েকদিনে ভারত থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তে পণ্য খালাস করতে যাওয়া কয়েকশো ভারতীয় ট্রাক সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে এই রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের ট্রাক চালাকরাও রয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি জটিল থাকায় তাদের খাওয়া-দাওয়ায় যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তার জন্য পেট্রাপোল থানার পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় একটি লঙ্গরখানা চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *