অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ২০ নভেম্বর: কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। বস্তুত খেলা নিয়ে সর্বত্রই আগ্রহ-উদ্দীপনা বাড়ছে। এই আবহে স্পোর্টস সায়েন্স নিয়ে বড় প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাবা সাহেব অম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি অর্থাৎ বিএসএইইউ (পূর্বতন ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিং, এডুকেশন, প্ল্যানিং অ্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন)।
জনসংখ্যার নিরিখে ভারত অনেক দেশের তুলনায় ঢের পিছিয়ে। এমনকি এশিয়ার চিন, জাপান, কোরিয়াও পদকপ্রাপ্তি ও মান— উভয়ের নিরিখেই অনেক এগিয়ে। তবে গত কয়েক বছরে একাধিক বড় প্রতিযোগিতায় ভারতের পদকপ্রাপ্তিতে লক্ষণীয় উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিএসএইইউ-এ স্পোর্টস সায়েন্স নিয়ে পুরোদস্তুর পাঠ্যক্রম শুরুর ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট বিভিন্নজনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকে বসেছেন। শীঘ্রই সেখানে চালু হবে স্পোর্টস সায়েন্সে পিএইচডি।
বিএসএইইউ-এর অধ্যাপক ডঃ বিশ্বজিৎ বালা এই প্রতিবেদককে জানান, স্পোর্টস সায়েন্স পিএইচডি এই রাজ্যে এই প্রথম। এটি করার জন্য প্রথা মেনে প্রায় ২০ জন আবেদন করেছিলেন। তিনজন পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে একটি আসন সংরক্ষিত। আবেদনের পর পরীক্ষায় যাঁরা ভাল ফল করেছেন, আগামী ২ ডিসেম্বর তাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন অভিজ্ঞ-বিশেষজ্ঞরা।
১৯৫১ সালে এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী আসর বসেছিল ভারতে। এর পর এই আসর হয় ওই শহরেই, ১৯৮২-তে। ইণ্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন স্থাপিত হয়েছিল ১৯২৭-এ। স্বীকৃতি পায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির। ২০২৪ এবং ২০৩২-এ অলিম্পিকের আসর বসবে যথাক্রমে প্যারিস ও ব্রিসবেনে। ভারত ছিল আবেদনকারী দেশগুলোর মধ্যে। ২০৩২-এ অলিম্পিকের আসর বসাতেও আগ্রহী ভারত। এ কারণে গুজরাটে বড় পরিকল্পনা হচ্ছে। এই পরিকল্পনায় অনেকের মধ্যে আছেন নবীন বঙ্গতনয় বিনীত বসু। সব মিলিয়ে বিএসএইইউ-এর স্পোর্টস সায়েন্স-সম্পর্কিত কার্যক্রম সাড়া ফেলবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান।