আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৭ মার্চ:
বালুরঘাটে লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শুরু ওষুধের কালোবাজারি। একাংশ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেই উঠেছে এমন অভিযোগ। রাতারাতি একাধিক দোকান থেকে উধাও হয়েছে বিশেষ ছাড়ের ব্যানার, পোস্টার। বিগত কয়েকদিন ধরে এই চিত্রই ফুটে উঠেছে বালুরঘাট শহরের বেশকিছু ওষুধের দোকানে। ক্রেতা টানতে শতাংশ হারে ছাড় দেবার বিশেষ পোস্টার লাগিয়ে আকর্ষণ করতেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিগত কয়েকদিনে করোনার লক ডাউনে মানুষ ঘরবন্দি হতেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সেই চিত্রই উল্টে দিয়েছে। ‘ওষুধে কোনও ছাড় নেই, দূরত্ব বজায় রাখুন’ এমনটা জানিয়ে নতুন ব্যানারও ঝুলিয়েছেন শহরের কিছু ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ। শুক্রবার শহরের সাড়ে তিন নম্বর মোড় এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে এমন দৃশ্য সামনে আসতেই শুরু হয় ক্রেতাদের মধ্যে নানা গুঞ্জন। লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি ও মানুষের ঘরবন্দির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এমন ফন্দি এঁটেছেন ওই অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতাদের একাংশ। সব দেখেশুনেও প্রশাসন কেন নিশ্চুপ রয়েছে সে প্রশ্নও তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
করোনা আতঙ্ক নিয়ে শুরু থেকেই বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনে সময়সীমা বাড়িয়ে দিতেই চিন্তাই পড়েন অনেকেই। যাঁদের প্রতিনিয়ত ওষুধ প্রয়োজন তাঁদের মধ্যে শুরু হয় চরম আতঙ্ক। সঠিক সময়ে ওষুধের যোগান না পেলে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে এমন চিন্তা থেকে অনেকেই দুই থেকে ৩ মাসের ওষুধ বাড়িতে কিনে মজুত করতে শুরু করেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ক্রেতা ধরতে ওষুধের দোকানে লাগানো ১০ থেকে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যানার পোস্টার তুলে নেন একাংশ ব্যবসায়ীরা।
শহরের এক ওষুধ বিক্রেতা ত্রিদীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, লোকাল বাজারে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণেই বাইরে থেকে গাড়ি ভাড়া করে ওষুধ আনতে হচ্ছে। ফলে শতাংশের ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। যদি এমনটা হয় তাহলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।