“বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্বের অভাবে দিল্লিতে বিজেপির পরাজয়”

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১১ ফেব্রুয়ারি: “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিজেপি মুখী হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যে বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। একই কারণে দিল্লিতে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে”। এমনটাই মনে করেন হিন্দু সংহতির সর্বভারতীয় সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য।
বীরভূমের হাঁসন বিধানসভা এলাকায় শক্তিবৃদ্ধি করতে সভার আয়োজন করেছিল হিন্দু সংহতি। সোমবার বিকেলে তারাপীঠ থানার তারাপুর গ্রামে সরস্বতী শিশু মন্দিরে সংগঠনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রজত রায়, সাধারণ সম্পাদক টোটোন হাজরা, কলকাতার যাদবপুর শাখার সমাপদক ধ্রুব জ্যোতি বল।

সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রে ভারতবর্ষের মানুষ মোদি-অমিত শা’কে চেয়েছিলেন। তাই দু’হাত ভরে তারা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন। ৩৭০ ধারা বাতিল, রামমন্দির নির্মাণ সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের কঠিন পদক্ষেপের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিজেপি মুখে হয়েছেন। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি করে বিজেপিতে এসেছেন। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে যথেষ্ট। ফলে মানুষকে অন্য কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে। যেমনটা হল দিল্লিতে। সেখানে স্থানীয় ইস্যুগুলো বিজেপি নেতৃত্ব ধরতে পারেনি। সেদিক থেকে আপ পার্টি স্থানীয় মানুষের সমস্যা তুলে ধরতে পেরেছে। তাই তারা ভালো ফল করেছে”। তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন আনা খুব প্রয়োজন। আমরা তিনটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। তার মধ্যে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান অন্যতম। সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। এবার আমাদের দাবি রয়েছে জন্ম নিয়ন্ত্রণ। অবিলম্বে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আইন না আনলে পশ্চিমবঙ্গে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। ইতিমধ্যে বীরভূম জেলা জুড়ে ব্যাপক হারে মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলছে। যা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। এখনই এইনিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে”। দেবতনুবাবু বলেন, “বীরভূমে আমাদের কোনও শাখা ছিল না। তারাপীঠের পূণ্যভূমি থেকে মা তারাকে সামনে রেখে আমরা জেলায় পথ চলা শুরু করলাম। ধীরে ধীরে প্রতিটি জেলায় আমরা সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলব”।

এদিন তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইত তন্ময় মুখোপাধ্যায়কে, পুলক চট্টোপাধ্যায়, অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায়, ভুজঙ্গ মণ্ডল এবং গৌর দাস মণ্ডলকে নিয়ে এদিন একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভায় হাঁসন বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *