সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৫ ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় জল প্রকল্পের নাম পরিবর্তন ঘিরে বিজেপি- তৃণমূল কাজিয়া তুঙ্গে। তার জেরে বড়জোড়ার উদ্বাস্তু কলোনীতে বন্ধ হলো কাজ।
দামোদর নদের উত্তর পাড়ে গড়ে উঠেছে বড়জোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্বাস্তু কলোনী, পল্লীশ্রী, মানাচর। নদীর পাশে বসবাস হলেও গ্রীষ্মকাল পড়লেই পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। এখানের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মতো পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের জন্য জলজীবন মিশন প্রকল্পে এখানে সাড়ে ৪ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে বৃহৎ সাবমার্সিবল করার অনুমোদন হয়। বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থা আজ সেই কাজ শুরু করলে স্থানীয় বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রবীর বারুই- এর নেতৃত্বে কাজে বাধা দেন একদল বিজেপি কর্মী।
প্রবীর বারুই বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর “হর ঘর জল” মিশন প্রকল্পের কাজ। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই কাজের নাম পাল্টে এই প্রকল্পের নামকরণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের “জল জীবন মিশন: প্রতি ঘরে পানীয় জল। তাঁর দাবি, তিনি সে বিষয়ে বিতর্ক তুলতে চান না। কিন্তু শীতের মরসুমে এখানের ভূগর্ভস্থ জল ততটা নীচে না থাকলেও গ্রীষ্মকালে জলস্তর অনেক নীচে নেমে যায়। তাই আমাদের দাবি, সাবমার্সিবল খননের কাজ এখন না করে গ্রীষ্মকালে করলে ভালো হয়।
বিজেপি বাধা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য অভিজিৎ সিংহ বলেন, বিজেপি গঠনমূলক কোনো কাজ করতে দিতে চান না। এই প্রকল্প শেষ হলে বিজেপির বাড়িতেও জল পৌঁছবে। কিন্তু একটা অজুহাত খাড়া করে বাধা দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই প্রকল্পে এলাকাবাসী উপকৃত হবে তাতেও বাধা। তিনি বলেন, এই কাজের জন্য আগস্ট মাসে টেন্ডার হয়। প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হয় ৪,৫৫,৮৯,৩৯৪ টাকা। সেই মত কাজ শুরু করে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা। কাজ বন্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বড়জোড়া ব্লকের জয়েন্ট বিডিও শুভঙ্কর সিনহা, বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শম্পা কর্মকার সহ প্রসানিক কর্তা ব্যক্তিরা।
জয়েন্ট বিডিও শুভঙ্কর সিনহা বলেন, এই মরসুমে সাব মার্সিবল করলে অসুবিধা হওয়ার কথা না। কারণ মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত খনন করেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তাঁর দাবি, গ্রামবাসীদের সকলেই চান এই প্রকল্প দ্রুত শেষ হোক। শম্পা কর্মকার জানান, শনিবার থেকে ফের কাজ শুরু হবে।