জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে রনক্ষেত্র খানাকুল, মৃত ১ বিজেপি কর্মী

গোপাল রায়, আরামবাগ, ১৫ আগস্ট: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হুগলীর খানাকুল। ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম সুদর্শন প্রামানিক। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক। ঘটনাটি ঘটে হুগলীর আরামবাগের নতীবপুর এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় খানাকুল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

বিজেপি কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় খানাকুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই এলাকায রণক্ষেত্র চেহারা নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ গেলে তাঁকেও বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকায় বিজেপি তৃণমূলের একটা অশান্তি চলছিল। শনিবার খানাকুলের নতীবপুর এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই  রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শুরু হয় বিজেপি–তৃণমূল সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এক বিজেপি কর্মীকে খানাকুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি ক‌র্মী-সমর্থকরা। এদিন আরামবাগ–তারকেশ্বর রোডের গৌরহাটি মোড়ে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহটিকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। নেতৃত্বে ছিলেন পুরুলিয়া সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো, আরামবাগ সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ, যুব মোর্চার সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ। দোষীদের শাস্তি দাবি তুলে প্রায় দু’ঘণ্টার ওপর মৃতদেহটির মৃতদেহ রেখে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। মুন্ডেশ্বরী নদীতে দুটি বাঁশের সেতুতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিজেপি সমর্থকরা।

আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে যখন আমাদের কার্য কর্তারা পতাকা উত্তোলন করে সেইসময় তৃণমূল অতর্কিতভাবে আমাদের কর্মীদের উপর মারধর চালায়। আমাদের কর্মী সুদর্শন প্রামানিক গুরুতর আহত হয় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। আমরা চাই যারা এই রকম জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অবিলম্বে শাস্তি।

তৃণমূলের নেতা দিলীপ যাদব এ বিষয়ে বলেন, খানাকুলে যে খুন হয়েছে বিজেপিরই নিজেদের মধ্যে লড়াই করে খুন হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কোনও ঘটনার সাথে যুক্ত থাকে না। তবে পুলিশ তদন্ত করছে, পুলিশ নিশ্চিত ভাবে সত্য ঘটনাকে উদঘাটন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *