আমাদের ভারত, ২৯ সেপ্টেম্বর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর নিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন বঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি হলে মাথায় গুলি করতাম”। এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই আইনি পদক্ষেপ করলেন সুকান্ত মজুমদার। অভিষেকের বিরুদ্ধে যাতে থানায় রিপোর্ট করা যায় সেই দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
সংবাদমাধ্যমে সামনে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে আঙ্গুল ঠেকিয়ে বলেছিলেন, “আমি থাকলে এখানে গুলি করতাম।” বিজেপির দাবি, তারই প্রেক্ষিতে জোড়াসাঁকো থানায় এফআইআর করতে যাওয়া হলে পুলিশ এফআইআর নিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে যেতে হয়েছে তাদের।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে সর্বভারতীয় তৃণমূল ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়। অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের এসিপি পদমর্যাদার অফিসার। তাকে দেখতে এসএসকেএম-এ গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেছিলেন, নবান্ন অভিযানের নামে গুন্ডামি হয়েছে। আন্দোলনের নামে দাদাগিরি চলেছে। দুষ্কৃতীদের দিয়ে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। পুলিশকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে। তবে পুলিশ ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারতো।
পুলিশের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে অভিষেক সেদিন বলেছিলেন, “ওনাকে বলেছি আপনাকে স্যালুট জানাই আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম তাহলে মাথায় গুলি করতাম।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। অভিষেকের গুলির মন্তব্য নিয়ে সরব হয় পদ্ম শিবির। সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, আগামী দিনে রাজ্যে ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ নামাতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো বলেছিলেন, এর বিরুদ্ধে পথে নামবেন তারা।
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি, পুলিশকে এফআইআর নিতে হবে। এরপর পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিলে তারা ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছে সুকান্ত মজুমদার।