শ্রীরূপা চক্রবর্তী,আমাদের ভারত, ১৮ ডিসেম্বর:বিধানসভা ভোটের আগে এইমুহুর্তে রাজ্য রাজনীতিতে লাগাতার বিরাট পট বদল হয়ে চলেছে। শাসক দলে একের পর নেতা পদত্যাগ করে বিজেপি মুখী। আর তারই মধ্যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৭ জন হেভিওয়েট পর্যবেক্ষক নিয়োগ করলো। এই সাতজন হেভিওয়েট পর্যবেক্ষক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দলের কাজকর্ম দেখাশোনা করবেন। এই ৭ হেভিওয়েট পর্যবেক্ষকের মধ্যে পাঁচজনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এছাড়াও দুজন হলেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ও মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভোটের আগে মূলত সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিজেপি নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
যে ৫ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পর্যবেক্ষক হিসেবে রাজ্যে আসছেন দলের দায়িত্ব নিয়ে, তারা হলেন অর্জুন মুণ্ডা, সঞ্জীব বালিয়ান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, মনসুখ মান্ডব্য, প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। এছাড়াও আসছেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নরোত্তম মিশ্র।
শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহকে ছটি লোকসভায় কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নৌপরিবহনমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যকে ছটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের প্রস্তুতি কাজের তদারকি করতে বলা হয়েছে। গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াটতকে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সঞ্জীব বালিয়ানকে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রস্তুতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, অর্জুন মুণ্ডাকেও বাংলার পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যকে বাংলার হাওড়া হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নরোত্তম মিশ্রকে বাংলা বর্ধমান অঞ্চলের লোকসভা কেন্দ্রের কাজ দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ দায়িত্ব ভাগ করা থেকে এটা স্পষ্ট যে বিজেপি নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ আগ্রহী। রাজ্যের শাসকদল থেকে পদত্যাগীরা সকলেই এখন বিজেপি মুখী। এই তৃণত্যাগীদের বিজেপিতে নেওয়া নিয়ে অনেক জায়গায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলেছেন যাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষ পদ্মমুখী হচ্ছে তারাই আবার পদ্মশিবিরে ভিড় করছে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি মানুষের সুরাহা প্রাপ্তির আশা আবার ক্ষীণ হয়ে গেল? এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি এখন সংগঠন মজবুত করার পদক্ষেপ স্পষ্ট করছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিখুত সংগঠন গড়ে নিজেদের ভিত মজবুত করায় মন দিয়েছে, যাতে অন্তত দল থেকে আয়ারাম গয়ারামদের প্রভাব না পড়ে।