আমাদের ভারত, ১ আগস্ট: লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই যে নামটি সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে সেটা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনা মুর্শিদাবাদ আসন হাতছাড়া হয়েছে অধীরের। তারপর থেকেই লক্ষ্য করা গেছে কংগ্রেস হাইকমান্ডের অধীরের প্রতি অনিহা। তাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন? এবার সেই জল্পনা আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
তবে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কার্যত তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শিবির থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কান্দির তৃণমূল বিধায়ক তথা অধীরের এক সময়ের ছায়া সঙ্গী অপূর্ব সরকারের মুখে শোনা গিয়েছে তেমনই বার্তা। কিন্তু বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য যে কথা বলেছেন তাতে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদের কথায় অধীর চৌধুরী রাইট প্লেয়ার প্লেয়িং ইন আ রং পার্টি। অর্থাৎ অধীর চৌধুরী একজন ভালো খেলোয়াড় হলেও একটা ভুল দলের হয়ে খেলছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেসকে বিঁধেছেন। তিনি মনে করিয়েছেন কংগ্রেস নেতাজি সুভাষচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত ব্যক্তিদেরকেও সম্মান দেয়নি। অধীর চৌধুরীর সঙ্গেও কংগ্রেস সেটাই করেছে।
বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার বিজেপি সংসদ শমীক ভট্টাচার্য অধীর চৌধুরী সম্পর্কে বলেন, কংগ্রেসে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চরানো যাবে না। খাড়গে সাহেবরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলকে বিজেপি একমাত্র হারাতে পারবে। তাই অধীর চৌধুরী যদি মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিসর্জন একান্ত প্রয়োজন তাহলে তৃণমূলের বিরোধিতায় যে বিজেপি সামনে আছে তার পাশে দাঁড়ান।
প্রসঙ্গত অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে বারবার তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে। সেই কারণেই তিনি তৃণমূলে যাবেন না বলে মনে করেছেন অনেকেই। তাহলে তিনি যদি হাত শিবির ছাড়েন তার জন্য রইল পদ্ম শিবির। তাহলে কি অধীর চৌধুরী পদ্ম শিবিরেই যাচ্ছেন? এই প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, অধীর চৌধুরীকে প্রভাবিত করছে কিনা এখন সেটাই দেখার।