পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ ফেব্রুয়ারি: আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের বগদা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে এক চা চক্রে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্থানীয় পুলিশকে যদি সেখান থেকে বদলি করা হয় তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পলিসি। তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। পাশাপাশি দুর্বৃত্তদের সুযোগ দিচ্ছে, আর সেটাকে পুলিশকে দিয়ে চেপে রাখার চেষ্টা করছে। এর জন্য পুরো পুলিশ প্রশাসন, পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ করা উচিত, তারপর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। না হলে কোনো সত্য সামনে আসবে না।
এর পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ‘মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে’, বলে মিডিয়ার সামনে দাবি করেন শিবু হাজরা। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, রোজ নতুন নতুন মুরগি খোঁজা হচ্ছে, কার ঘাড়ে চাপানো যাবে। যারা শিবু হাজরার মত সমাজবিরোধী- ক্রিমিনাল। যারা স্থানীয় মানুষজনদের উপর অত্যাচার করেছেন, সরকারি পয়সা লুট করেছেন। তাদের তো আগে সাজা দিতে হবে। তারা কী করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়? কী করে ইন্টারভিউ দেয় চ্যানেলকে? এই কথার উত্তর পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিতে হবে। তারমানে তারা তাকে প্রটেকশন দিচ্ছে যাতে গ্রেফতার না হয়। এইসব খুব বেশিদিন চলবে না। একদিন না একদিন তাকে আসতেই হবে আইনের সামনে।
ফুঁসছে সন্দেশখালি। ফের নতুন করে একাধিক
প্রান্তে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রশাসনের উপর নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবির। একদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা, কিন্তু পথেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার আবার বসিরহাটে এসপি অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির তৈরি হয়। আটক করা হয় বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে। গতকাল অসুস্থ হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ভর্তি হন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আর এবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।