আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ৩ ডিসেম্বর: আর মাত্র ২৯দিন অপেক্ষা করুন।বতারপর তৃণমূল কংগ্রেস পুরোপুরি ভেঙে যাবে। আমরা দেখতে পাব তৃণমূল কংগ্রেস আর রাজ্য সরকার চালাচ্ছে না। আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। পাশাপাশি এদিন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর বিধানসভা এলাকায় দাঁড়িয়ে তিনি আবারও দাবি করেন আগামী দুই মাসের মধ্যে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীও বিজেপি-তে যোগদান করবেন। সৌমিত্রবাবুর বক্তব্যের পাল্টা বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, সৌমিত্র খাঁ আমার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবার জন্য যোগাযোগ করছেন।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ নিজেই একটি মোটর সাইকেল চালিয়ে জেলা বিজেপি কার্য্যালয়ে আসেন বিজেপি-র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পুষ্প বৃষ্টি করে সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান জেলা মহিলা মোর্চার নেতা-কর্মীরা। এরপর তাঁর ছোট্ট বক্তব্যে তিনি বলেন, “পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় অফিসগুলিতে পাহারা দিচ্ছে। এতেই বোঝা যায় তৃণমূল কংগ্রসের সঙ্গে মানুষ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে শুধুমাত্র পুলিশ আছে। ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের বলব, আপনারা আর মাত্র ২৯ দিন অপেক্ষা করুন। তৃণমূল কংগ্রেস পুরো ভেঙে যাবে। আর এই আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী যে ২০১২ সালে কংগ্রেস করতেন তিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। তিনিও আগামী ২ মাসের মধ্যে বিজেপি-তে যোগদান করে বলবেন, আমাকেও একটু জায়গা দাও আমি পাপের প্রায়শ্চিত্ত করি।”
এরপর সৌমিত্র খাঁ সহ দলের নেতা-কর্মীরা জয়গাঁও-তে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর আক্রমনের প্রতিবাদে ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং রাজ্য জুড়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচির প্রথম ধাপে দুপুর ২টা নাগাদ বিএম ক্লাব ময়দান থেকে একটি র্যালিতে পা মেলান। প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মীদের র্যালি নিয়ে জেলাসদরের কোর্ট মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে এসে দাঁড়ালে দলের কিছু উত্তেজিত কর্মী পুলিশ ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এরপর একটি গাড়িতে তৈরি সভামঞ্চে সৌমিত্রবাবুকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা ২০১৯-এ রাজ্যে ১৮টি লোকসভা সিট জিতেছি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ২১০টির বেশি সিট পাব। আমরা চাইছি যারা মানুষের জন্য কাজ করতে চাইছেন তারা আসুন।”
অন্যদিকে এদিন সৌমিত্র খাঁর বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় জানান, “সৌমিত্র খাঁ আমার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবার জন্য যোগাযোগ করছেন।”