‘বিজেপিকে বলো’ আসলে পিকের ফন্দি, দলকে সাবধান করল রাজ্য বিজেপি

চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ১৯ ফেব্রুয়ারি: ‘বিজেপিকে বলো’ নামে কোনও কর্মসূচি নেয়নি রাজ্য বিজেপি। ‘বিজেপিকে বলো’ নামে যে কর্মসূচি রাজ্য বিজেপি নিয়েছে বলে প্রচার চলছে, তা পুরোটাই মিথ্যে। বুধবার একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস রীতিমতো ষড়যন্ত্র করে প্রচার চালাচ্ছে যে, ‘বিজেপিকে বলো’ নামের এক কর্মসূচি রাজ্য বিজেপি গ্রহণ করেছে। তৃণমূলের তরফে প্রচার করা হয়েছে, একটি টোল ফ্রি নম্বর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব চালু করেছেন। সেই নম্বর হল- ৯২৩১১৭৪২০০। ওই নম্বরে ফোন করে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সাধারণ মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। সেই সব সমস্যার কথা শুনে বিজেপি নেতৃত্ব পুর নির্বাচনে দলের ইশতেহার তৈরি করবেন বলেও প্রচার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

শুধু তাই নয়, প্রচার করা হয়েছে, দলের সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বই নাকি ‘বিজেপিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সব দাবিই বুধবার স্রেফ গাঁজাখুরি গল্প বলে উড়িয়ে দিল রাজ্য বিজেপি। শুধু তাই নয়, এই ‘অপপ্রচার’ সম্পর্কে সচেতন থাকতেও দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেছেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা।

এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস ‘দিদিকে বলো’ নামে এক কর্মসূচি চালু করেছে। এই কর্মসূচি পুরোটা ‘ভোট ব্যবসায়ী’ প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করার কারণ, তৃণমূল কংগ্রেস সম্পূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইমেজের ওপর নির্ভরশীল দল। রাজ্যের ঠিক কতজন মানুষ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রাখেন, এই কারণেই তা জানতে মরিয়া ছিলেন কিশোর। সেই কথা মাথায় রেখেই তিনি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেছেন। এই কর্মসূচির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচও করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি, এই সম্পূর্ণ দলীয় কর্মসূচিতে রাজ্য প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করার অভিযোগও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে উঠেছে। ইতিমধ্যে, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে এক বিরাট মাপের কেলেঙ্কারি বলে অভিযোগও করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা।

এই পরিস্থিতিতে সামনে উঠে এসেছে ‘বিজেপিকে বলো’ নামের এই কর্মসূচি। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কা, গেরুয়া শিবিরের প্রতি এই রাজ্যের ঠিক কতজন বাসিন্দা বর্তমানে আস্থা রাখছেন, তা যাচাই করে নিতে চান প্রশান্ত কিশোর অ্যান্ড কোং। রাজ্যে এখন বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। সেকথা মাথায় রেখেই ‘বিজেপিকে বলো’ কর্মসূচির কথা প্রচার করা হয়েছে। গোটাটাই আসলে ভোট ব্যবসায়ী ‘প্রশান্ত কিশোর’-এর পরিকল্পনার ফসল। বাধ্য হয়েই এবার তড়িঘড়ি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *