আমাদের ভারত, ২৭ জানুয়ারি: বেলিলিয়াস রোডে হাওড়ায় আক্রান্তদের দেখতে গিয়ে শনিবার পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “২০২৬- এ ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। তখন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব। শেখ শাহজাহানের মতো লোকজনের বাড়িতে গেরুয়া বুলডোজার চলবে। এখানে রাজ্য সরকার চলছে, না ফাজলামো চলছে?”
হাওড়ায় কয়েকদিন আগে দু’দলের ঝামেলা বাধে। অশান্তি ছড়ানোয় এলাকায় এখনো ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় আক্রান্তদের দেখতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে পুলিশ তাকে জানায় এবং তার সাথে আসা বিজেপি কর্মীদের হাওড়া পুরসভার সামনে ব্যারিকেট করে আটকে দেয়। হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, বাধা পাওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় সুকান্তবাবুর। প্রায় এক ঘন্টা ধরে দু’পক্ষের টানাপোড়েন চলে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, বারবার হাওড়ায় ঝামেলা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ নির্বিকার। এসব আমরা আর সহ্য করব না। হাওড়া পুলিশ কমিশনারের অফিস ঘেরাও করার হুমকি দেন তিনি।
রাস্তায় দাঁড়িয়েই পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার
পরে তারা তাদের কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। জানান, শান্তি রক্ষার স্বার্থে আপাতত তারা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, পুলিশ যে কথা দিয়েছে সে কথা যদি পুলিশ রাখতে না পারে তাহলে পদক্ষেপ করবেন তারা। তিনি আরো বলেন, “একটি সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ হিন্দুদের সহনশীলতাকে দুর্বলতা বলে মনে করছেন। এই দুর্বলতার কোনো জায়গা নেই। ২৬- এ বিজেপি সরকার তৈরি হলে তখন আমরা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব। শেখ শাহজাহানের মতো মানুষের বাড়িতে গেরুয়া বুলডোজার চলবে। স্ট্যাম্প পেপারে লিখে রাখুন, সেই দিন আসছে। শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, বাংলাতেও বুলডোজার সরকার আসছে। যারাই আইন লঙ্ঘন করবে, তাদের জন্য বুলডোজার চলবে।”
সুকান্ত মজুমদার বলেন, মন্দির যারা ভেঙ্গে দিচ্ছে, মূর্তি যারা ভেঙ্গে দিচ্ছে তাদের কি ছেড়ে দেওয়া হবে? তিনি বলেন, তারা তৃণমূল কংগ্রেস নন, যে লুঙ্গি বাহিনীর লাথি খাওয়ার পরেও রেশন সামগ্রী পাঠাবেন বাড়িতে।