বিজেপি কর্মীকে মারধর ও কর্মীর মায়ের শ্লীলতাহানী, অভিযোগ গোপীবল্লভপুর ১নং ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি বিরুদ্ধে

অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ২ ডিসেম্বর: ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের বর্গীডাঙ্গা মোড়ে বিজেপি কর্মী প্রসূন দোলাইকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়িতে খেতে বসেছিলেন প্রসূন দোলাইয়ের মা পুষ্পলতা দোলাই। বাইরে চিৎকার শুনে এসে দেখেন তার ছেলেকে মারধর করা হচ্ছে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন মা। পুষ্পলতা দোলাইকে ঠেলাঠেলি করে শাড়ি ছিঁড়ে মারধর করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি সত্যকাম পট্টনায়েক, সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়ের জিএস সৌভিক বারিক, সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মন্টু বিশুই, দীপঙ্কর দে, সৌরভ শীট ও প্রলয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

এদিন রাত এগারোটা নাগাদ গোপীবল্লভপুর থানায় বিজেপির ওই কর্মী অভিযোগ দায়ের করতে গেলে প্রথমত অভিযোগ নেইনি পুলিশ বলে অভিযোগ। পরে প্রায় আড়াই ঘন্টা পর রাত ২.৩০টে নাগাদ অভিযোগ নেয় পুলিশ। তবে দোষীদের খুব লঘু ধারা দেওয়া হয়েছে এমনটাও অভিযোগ বিজেপির। এই ঘটনার পরে সোমবার সকাল থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতেয়ান হয় কলেজ রোড় এলাকায়। এই ঘটনায় ছয় জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ বলেন, দোষীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে পুলিশ তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।অভিযোগকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন করবে এই এলাকার বিজেপী কর্মীরা।

এই ঘটনা নিয়ে ঝাড়গাম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক বলেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে ও বানানো। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, তিনটি উপনির্বাচনে রায় ঘোষণার পরে বিজেপি এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ও এলাকাকে উতপ্ত করার চেষ্টা করছে। আমাদের ছেলেরা গতকাল রাতে হোটেল থেকে খাবার খেয়ে মেসে ফিরছিল।সেই সময় বিজেপীর কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। এমনকি মেসের ভেতরো ঢুকে ভাঙ্গচুর চালায় বিজেপী কর্মীরা।বিজেপী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এদিন অভিযোগ দায়ের করা হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *