তরঙ্গ নিয়ে গবেষণার জন্য নাসা থেকে ডাক পেল মেদিনীপুরের বিশ্বজিৎ

আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ নভেম্বর:
তরঙ্গ নিয়ে গবেষণার জন্য নাসা থেকে ডাক পেল মেদিনীপুরের বিশ্বজিৎ। সোলার উইন্ড কন্ট্রোল অফ ওয়েভ অ্যাকটিভিটি ইন দি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার নিয়ে প্রজেক্ট তৈরী করে গবেষনার ইচ্ছা প্রকাশ করে বিশ্বজিৎ। বছর দুয়েক আগে এই বিষয়ে নাসাতে আবেদন জানিয়েছিল মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ির বাসিন্দা পেশায় মুড়ি বিক্রেতা বিষ্ণুপদ ওঝার ছেলে বিশ্বজিৎ ওঝা। আর সেই গবেষণার জন্য নাসা থেকে ডাক পেল বিশ্বজিৎ। যা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাবাসীর কাছে গর্বের। মেদিনীপুর শহরের রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বিশ্বজিৎ। এরপর খড়্গপুর কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী থেকে ফিজিক্স নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি কমপ্লিট করার পর মুম্বাইয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিওম্যাগনেটিসম (IIG) তে তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করে।

নাসাতে ডাক পাওয়া নিয়ে বিশ্বজিৎ বলে তার গবেষণার বিষয় হল তরঙ্গ। পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬ হাজার কিঃমিঃ। পৃথিবীর রেডিয়েশন বেল্ট প্রায় ১৮/৩০ হাজার কিমি দূরে সৌর জগৎ ও মহাকাশের বিভিন্ন দিক থেকে আসা প্রচুর পরিমাণে হাই এনার্জি পার্টিক্যাল পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে। কিন্তু সেই সব হাই এনার্জি পার্টিক্যাল গুলো বিভিন্ন তরঙ্গ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই তরঙ্গ গুলোর কাজই হচ্ছে হাই এনার্জি পার্টিক্যাল গুলোকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া। যাতে সেগুলো পৃথিবী পৃষ্টে আসতে না পারে। বিশ্বজিতের লক্ষ্য হচ্ছে, সেই তরঙ্গ গুলোকে ডিটেক্ট করা। এর দ্বারা এটা জানা যেতে পারে, যে হাই এনার্জি পার্টিক্যালগুলো কোথা থেকে আসছে এবং সেগুলিকে তরঙ্গ দ্বারা ডিটেক্ট করে কিভাবে ও কোনদিকে যেতে বাধ্য করছে।

তার এই গবেষণা সফল হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন হাই এনার্জি পার্টিক্যাল গুলোকে পৃথিবীর দিকে আসতে আটকানো যাবে, তেমনই পৃথিবীর চারপাশে যে হাজার হাজার স্যাটেলাইট ঘুরছে, সেগুলোর ক্ষতি হওয়া আটকানো যাবে। ইতিমধ্যেই নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী ডেভিড সাইব্যাক এর সঙ্গে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মেদিনীপুরের বিশ্বজিৎ ওঝা। এরই পাশাপাশি বিশ্বজিৎ জানায়, সে চায় গোটা বিশ্বে মেদিনীপুরের নাম উঠে আসুক।

বিশ্বজিতের বাবা বিষ্ণুপদ ওঝা ছেলের এই কাজে গর্বিত। তিনি চান ছেলে যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তা পূরণ হোক এবং দেশের জন্য তার ছেলে কিছু করুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *